রাজস্থলী প্রতিনিধি
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব জায়গা থেকে চারটি সেগুন গাছ কেটে নিয়ে গেছে একটি অসাধু চক্র। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আঙ্গিনার এই চারটি বড় গাছ কে বা কারা কেটে নিয়ে গেছে তা কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের মতে এই চারটি সেগুন গাছে আনুমানিক বাজারমূল্য এক লক্ষ টাকার উপরে।
অথচ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার পর গাছের চিহ্ন ধ্বংস করার জন্য আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
অনুসন্ধানে দেখা যায় এই কাজের সাথে হাসপাতালের কেউ না কেউ জড়িত রয়েছে এবং গাছ কর্তনে গোপনে সহযোগিতা করেছে। তবে হাসপাতালের কেউ তা স্বীকার করেনি। হাসপাতালের একজন নৈশপ্রহরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা হাসপাতালের ভিতরে দায়িত্ব পালন করি বিধায় হাসপাতালের বাইরে কি হয়েছে বা কারা গাছ কর্তন করেছে সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
এই বিষয়ে কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের রাজস্থলী সদর রেঞ্জে রেঞ্জ কর্মকর্তা তুহিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে সরকারি নিয়মকানুন মেনে কাটতে হবে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার জন্য আমাদের বন কার্যালয় থেকে কোন অনুমতিপত্র নেয়নি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাছ কাটার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
এদিকে রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিবলী শফিউল্লাহ বলেন, হাসপাতালের গাছ কর্তন করার বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি। সাংবাদিকদের মাধ্যমেই এই বিষয়টি জানতে পারি আমি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব এবং এই তদন্তের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র জানান, গাছ কর্তনের বিষয়ে আমাকে এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্তন করার কারো কোন এখতিয়ার নেই।