থানচি প্রতিনিধি ॥
পবিত্র ঈদুল ফিতর বাবা মায়ের সাথে ছুটিতে আসার কথা থাকলে ও ফিরে আসলেন লাশ হয়ে। যশোর জেলায় কেশবপুর পৌর শহরের সাহাপাড়ার খ্রিষ্টান আউট রিসোর্ট সেন্টার ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ মিশনের রাজেরুং ত্রিপুরা (১৫) ৯ম শ্রেণী শিক্ষার্থী। পরিবারে পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন রাজেরুং ত্রিপুরা। পরিবারে অসচ্ছলতা কারণে তাকে মিশনে পড়িয়েছে বাবা মা। গত শুক্রবার তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন মিশনের প্রধান খ্রিষ্টিফা সরকার। এর প্রতিবাদে বান্দরবানে থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ত্রিপুরা সচেতন সমাজ।
রবিবার সকালে উপজেলা তিন রাস্তার মোড়ে জড়ো হতে থাকে উপজেলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পাহাড়ি প্রতিনিধি শিক্ষার্থী ও সচেতন সমাজ। সেখান থেকে হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ‘থানচি ত্রিপুরা সচেতন সমাজ’ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে তিন রাস্তার মোড় সামনে অবস্থান নেন। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন আয়োজন করেন।
জানা যায়, রাজেরুং ত্রিপুরা থানচি উপজেলা ১নং রেমাক্রী ইউনিয়নের কালু পাড়া রমেশ ত্রিপুরা মেয়ে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন রাজেরুং। যশোর জেলা কেশবপুর উপজেলা পৌর শহরের সাহাপাড়ার খ্রিষ্টান আউট রিসোর্ট সেন্টার ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ মিশন ৯ম শ্রেণিতে পড়তেন। গত শুক্রবার মিশনের ফাদার ও পরিচালকরা ধর্ষণের করে তাকে হত্যা করা হয়।
ত্রিপুরা, মারমা, ¤্রাে ও খুমী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বক্তারা বলেন, নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সারাদেশের অব্যাহত নীপিড়ন ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজকের আমরা সকলের সমবেত হয়েছি। কেশবপুরে আমাদের বোন রাজেরুং ত্রিপুরা ঈদের ছুটিতে বাবা মায়ের সাথে সময় কাটানো কথা, কিন্তু সে ফিরে আসলো লাশ হয়ে।
সমাবেশে ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি ও ৩৭০নং মদুকছড়া মৌজা হেডম্যান সিমন ত্রিপুরা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অন্দ্রিজয় ত্রিপুরা, এনি ত্রিপুরা, ক্যহাইসিং মারমা, শিক্ষক লিটন ত্রিপুরা ও মুক্ত ত্রিপুরাসহ অনেকে।