নিজস্ব প্রতিবেদক, রামগড়
খাগড়াছড়ির রামগড়ে মাদকের বিরোধিতা করায় সদ্য অপসারিত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন বাদশা ওরফে খাড়া বাদশার নেতৃত্বে বিএনপি’র ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দুইজনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
বুধবার সকালে রামগড় পৌরসভার শ্মশানটিলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পৌর শহর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। বিকেলে বিক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা রামগড় বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাফায়েত মোর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, সদ্য অপসারিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত মোবারক হোসেন বাদশা ওরফে খাড়া বাদশা’র নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে শ্মশানটিলা এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত করে সন্ত্রাসীরা।
হামলার ঘটনায়, ১নং পৌর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরহাদকে গুরুত্বর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইউনুছ ও বিএনপি নেতা মো: মুছা মিয়াকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক স¤্রাট মোবারক হোসেন বাদশা ওরফে খাড়া বাদশা পুরো রামগড়কে মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে। বিএনপির পক্ষ থেকে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অবস্থায় নেয়া ও বাধা দেয়ায় মাদক ব্যবসায়ী খাড়া বাদশা ক্ষুব্ধ হয়ে তার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে বুধবার বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও রামগড় উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফেজ আহাম্মদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বুধবার বিকেলে রামগড় বাজারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন রামগড় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন নুরু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত উল্যাহ, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সুজায়েত আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাফায়েত মোর্শেদ ভূঁইয়া।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাস বলেন, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।