বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এবং আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী, আমতলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হোসেনকে দলীয় কার্যক্রম হতে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ। বুধবার বিকালে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এই তথ্য জানান। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন।
প্রেস ব্রিফিং এ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, আমতলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও আমতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হোসেন এর বিরুদ্ধে আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ ও বিভিন্ন অপকর্ম এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ নানান অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেকে সংগঠন হতে স্থায়ী বহিষ্কারের লক্ষে গত ১৩ অক্টোবর রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাথে এক মতবিনিময় সভা করে বাঘাইছড়ি উপজেলা ও আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দেড়শতাধিক নেতাকর্মী। রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি ও সাধারণ মুছা মাতব্বরসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অভিযোগ আমলে নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীহসহ উপজেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে গত ৩১ অক্টোবর এক জরুরি সভা করে বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ, সভায় সকলের সম্মতিক্রমে রাসেল চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন ও পারভেজকে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য জেলা আওয়ামীলীগ বরাবর সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
রাসেল চৌধুরীর বিষয়ে কি কি অভিযোগ প্রশ্নের উত্তরে গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন, রাসেল চৌধুরী সংগঠনের পদ-পদবি ব্যবহার করে দলীয় অনেক নেতাকর্মীকে মামলা হামলা হয়রানি ও চাঁদাবাজি করেছে এমন অনেক অভিযোগ আছে। দলের সিনিয়র নেতাকর্মী বিশেষ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রæ চৌধুরীসহ অনেকের সিল-সই এবং দলীয় প্যাড নকল করে ব্যবহার করেছে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যেকোন পর্যায়ের নেতাকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার রাখে জেলা কমিটি তাই আমরা জেলা আওয়ামীলীগের ওপর আস্থা রাখছি সুন্দর সিদ্ধান্তের জন্য।
উল্লেখ্য যে, এর আগেও ২০১৭ সালে আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ হতে সামহিক অব্যাহতি দেয়া হয় রাসেল চৌধুরীকে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী হোসেন বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় রাসেল চৌধুরী। আমতলী ইউনিয়নে তার অপকর্মের কারণে আমতলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ভোট নষ্ট হয়েছে তাই তার ব্যাপারে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আগামীকাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তের কপি জেলা আওয়ামীলীগ বরাবর প্রেরণ করা হবে আশা করছি জেলা আওয়ামীলীগ দ্রুত ভালো একটি সিদ্ধান্ত নিবে।