বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের ২ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।
রোববার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান বলেন, “রুমা উপজেলার দুর্গম ব্কলাই পাড়া এলাকায় রোববার সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির দুইজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।”
এ ছাড়া তিনটি অস্ত্র, বিপুল গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এর আগে রুমার রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড বাকলাই পাড়া এলাকার থানচি-লিক্রি সড়কের পাশের জঙ্গলে গুলিবিদ্ধ দুই মরদেহ পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছিল স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত ওই এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলি শব্দ শোনা গিয়েছিল। পরে রোববার সকালে গুলিবিদ্ধ দুইটি মরদেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন তারা।
পরে থানচি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছিলেন, ঘটনাস্থলটি রুমা থানা এলাকার হলেও থানচি থানার সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা ও নিকটবর্তী হওয়ায় ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।
ঘটনার বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের ৪টি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। তবে দু’দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।
রুমার ঘটনার পরদিনই থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। অভিযান সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী।
যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২২ নারীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।
( খবর বিডিনিউজ’র)