লংগদু প্রতিনিধি
রাঙামাটির লংগদুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে নিঁখোজ হওয়া যুবক আব্দুল করিমের (১৮) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল।দীর্ঘ বারো ঘন্টা নিখোঁজ থাকার পরে আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে আটটার সময় জেলা সদর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডবুরী দল ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়ে আব্দুল করিমের মৃতদেহ।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় কাপ্তাই হ্রদের উপরে ঝুলে থাকা তারের নীচ দিয়ে বোট চালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে নিঁখোজ হন।
নিহত আব্দুল করিম উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের মারিশ্যারচর অফিসটিলা এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ এর সন্তান।
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , বিদ্যুতের বিপদজনক লাইন এত বড় টানা দিয়ে পানির সামান্য উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যুৎ বিভাগের উদাসীনতায় এরকম দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। মাত্র এক বছর আগেও এই জায়গার অত্যন্ত কাছাকাছি পানির উপরে ঝুলে থাকা আরেকটি বিদ্যুতের লাইনে বোট আরোহী একজন নিহত হন। অথচ এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় নাই।
এ বিষয়ে লংগদু বিদ্যুত উপকেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী সাগর দেবনাথ বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই তদন্ত করে খোঁজখবর নিয়েছি। এর সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
লংগদু ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার সূর্য্য আলো চাকমা বলেন যে, ডুবুরি দল না থাকায় জেলা সদর হতে ডুবুরি দল আনতে হয়েছে। লংগদু ফায়ার স্টেশনে ডুবুরি দল থাকলে উদ্ধার কাজ আরো দ্রুত করা সম্ভব হতো । লংগদু উপজেলা যেহেতু পানিবেষ্টিত, তাই এই স্টেশনে ডুবুরি দল অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অবহিত করবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গাঁথাছড়া কাচালং সেতুর কাছে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে একজন নিহত ও তিনজন যুবক আহত হয়েছিলেন। তখন থেকেই বিদ্যুতের তার উপড়ে উঠানোর দাবি করেছে স্থানীয়রা। এবং গণমাধ্যমকর্মীরাও বিভিন্ন সময় প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবগত করেছেন। কিন্তু আজ অবধি কোনো কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়নি।