আরমান খান, লংগদু
পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকটে ব্যহত হচ্ছে পাঠদান। উপজেলার মোট ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ১১৬টি পদ শূন্য রয়েছে। যার মধ্যে প্রধান শিক্ষকের ২৬টি এবং সহকারি শিক্ষকের ৯০ টি পদ রয়েছে। শিক্ষকের এই বিশাল সংকটের ফলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দূর্গম এই উপজেলার শিশুরা এমনটাই জানান স্থানীয় অভিভাবকরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়, লংগদু উপজেলায় মোট ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে ৭৪ জন প্রধান শিক্ষক এবং সহকারি শিক্ষকের অনুমোদিত পদ রয়েছে ৩৭৩টি। মোট ৪৪৭ টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক আছেন ৩৩১ জন। যাদের মধ্যে ৪৮ জন প্রধান শিক্ষক এবং ২৮৩ জন সহকারি শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি এবং সহকারি শিক্ষক নিয়োগে আইনি জটিলতার কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, শিক্ষক সংকটে থাকা বিদ্যালয়ের মধ্যে উপজেলার বগাচত্বর ইউনিয়নের উগলছড়ি মহাজনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত আট শিক্ষকের বিপরীতে কর্মরত শিক্ষক আছেন মাত্র পাঁচ জন। মারিশ্যারচর মুসলিমবøক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুমোদিত শিক্ষকের পদ পাঁচটি। এখানে শিক্ষক আছেন মাত্র দুজন। প্রধান শিক্ষক নাই দীর্ঘদিন। এছাড়াও বগাচত্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সাতটি অনুমোদিত পদের বিপরীতে কর্মরত শিক্ষক আছেন মাত্র তিনজন। এখানে প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষকের পদ শূন্য দীর্ঘদিন। পেটান্যামাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ শিক্ষকের বিপরীতে আছেন মাত্র দুজন। এখানেও প্রধান শিক্ষক ও সহকারী মিলে তিনটি পদ খালি। দক্ষিন মারিশ্যারচর বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক আছেন মাত্র দুজন। এখানে ছয় শিক্ষকের অনুমোদিত পদের চারটিই খালি। প্রধান শিক্ষক নাই দীর্ঘদিন। ঠেকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় শিক্ষকের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন। এখানেও প্রধান শিক্ষকসহ তিনটি পদ শূন্য।
উপজেলার ভাসান্যাদম ইউনিয়নের চাইল্যাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক আছেন মাত্র দু’জন। বিদ্যালয়টিতে শিক্ষকের অনুমোদিত পদ সাতটি। এই বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট নয়টি শ্রেণিতে শিক্ষার্থী আছে ৩৫০ জন। তবে স্থানীয় অভিভাবক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সহায়তায় চারজন প্যারা শিক্ষক দিয়ে কোনোমতে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রহমত আলী জানান, এখানে শিক্ষক সংকটের ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে একটা স্কুল চালানো খুব কষ্টকর। কমিটি ও অভিভাবকদের সাহায্য নিয়ে চারজন প্যারা শিক্ষক দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। তবে অতিদ্রæত এখানে শিক্ষকের শূণ্যপদ পূরণ করতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এছাড়াও ভাসান্যাদম ইউনিয়নের ঘনমোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের শূন্যপদ আছে চারটি। এখানে অনুমোদিত পদের সংখ্যা আট। এদিকে উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের ইয়ারিংছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় শিক্ষকের বিপরীতে কর্মরত আছেন তিনজন। বাকি তিনটি সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য। ভাঙ্গামুড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ শূন্য পদ রয়েছে তিনটি। এখানে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন সহকারী শিক্ষক। আটারকছড়ার দূর্গম লেমুছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় শিক্ষকের বিপরীতে কর্মরত আছেন তিনজন। এখানেও প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে।
উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের সোনারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অনুমোদিত ছয়টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন। এখানে প্রধান শিক্ষক ও দুইজন সহকারীসহ তিন শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। অপরদিকে গুলশাখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুইজন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অনুমোদিত পদ রয়েছে নয়টি। এছাড়াও কালাপাকুজ্যা ইউনিয়নের হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অনুমোদিত ছয়টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন। এখানে সহকারী শিক্ষকের চারটি পদ দীর্ঘদিন যাবত খালি রয়েছে। বর্তমানে কর্মরত সহকারী শিক্ষক গোলাম জিলানী আগামী ২০২৫ সালের শুরুতেই অবসরে যাবেন এবং প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমানের চাকরী আছে আর মাত্র দু’বছর। তিনিও অবসরে যাবেন ২০২৬ সালের শুরুতে। এছাড়াও কালাপাকুজ্যা, ইসলামপুর, রশিদপুর ও গোলটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয়জন করে শিক্ষকের অনুমোদিত পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন চারজন করে শিক্ষক। এদের মধ্যে কালাপাকুজ্যা ও রশিদপুর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই দীর্ঘদিন।
এ বিষয়ে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে ২০১৬ সাল থেকে আমরা মাত্র দুজন শিক্ষক কর্মরত আছি। মাঝে একটা নতুন নিয়োগ থেকে তিনজন সহকারী শিক্ষক পেয়েছিলাম কিন্তু তারা একমাসের মধ্যেই অন্যত্র বদলী হয়ে চলে গেছেন। আমার বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১২৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, অতীতে আরো বেশি ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। দুজন শিক্ষক দিয়ে কোনোভাবেই ছয়টি শ্রেণিতে পাঠদান করানো সম্ভব হচ্ছেনা।’
এদিকে উপজেলার লংগদু সদর ইউনিয়নের তিনটি বিদ্যালয়ে মাত্র দুজন করে শিক্ষক দিয়ে কোনোমতে বিদ্যালয়গুলো সচল রাখা হয়েছে। এখানে বামের লংগদু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ছয়টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন শিক্ষক। একই অবস্থা এপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এখানেও প্রধান শিক্ষকসহ ছয় জনের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন সহকারী শিক্ষক। গত চার বছর ধরে শিক্ষকের এই সংকট চলছে বলে জানান সহকারি শিক্ষক ফরিদ আহামেদ। রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ছয়টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন সহকারি শিক্ষক। এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য দীর্ঘদিন।
তবে অনেকটা ভিন্নচিত্র উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। এই ইউনিয়নের আটটি বিদ্যালয়ের মধ্যে শুধুমাত্র উত্তর সোনাই ও দক্ষিন সোনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন করে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। বাকি ছয়টি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অনুমোদিত পদের সবগুলোই পরিপূর্ণ আছে।
শিক্ষার হারে পিছিয়ে থাকা পার্বত্য জনপদ লংগদু উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করনীয় বিষয়ে লংগদু উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থী বান্দরবান সরকারি কলেজের প্রভাষক আল আমিন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হলো আনুষ্ঠনিক শিক্ষার প্রথম পর্যায়, মূলত এই শিক্ষার উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাবে শিশুরা। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত না হলে পরবর্তী শিক্ষা অর্জনের ধাপগুলোতে উন্নতিকরা কষ্টসাধ্য হবে। পার্বত্য জেলা রাঙামাটির দূরবর্তী একটি উপজেলা লংগদু। বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিলেও এই উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থার তেমন আশানুরুপ পরিবর্তন হয়নি। উপজেলার ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষকের ১১৬ টি পদ শূন্য রয়েছে। এমনিতেই এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনুপাতের ব্যবধান অনেক বেশি তার মধ্যে এতো শিক্ষক সংকট নিয়ে মানসম্মত শিক্ষা অর্জন দুরুহ।
এতসব সীমাবদ্ধতার মাঝেও কিছু অর্জন আমাদেরকে গর্বিত করে। যেমন ২০২৩ সালে জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক মনোনীত হয়েছেন উপজেলার উগলছড়ি মহাজনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক। এবং তার বিদ্যালয়টি হয়েছে উপজেলার সেরা। শত সীমাবদ্ধতার মাঝেও শুধুমাত্র সদিচ্ছা থেকেই এমনটা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে অনেকগুলো বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষক স্বল্পতা দূর করে প্রতিটি বিদ্যালয়ে কমপক্ষে আটজন করে শিক্ষক পদায়ন করা। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহকারি, দপ্তরী, আয়া ও নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়া। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের সচেতন করা। শিক্ষকদের উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা করা। উপজেলা ভিত্তিক পুল শিক্ষকের ব্যবস্থা করা, যাতে করে কোন শিক্ষক প্রশিক্ষণ, মাতৃত্বকালীন ও চিকিৎসা ছুটিতে গেলে তার স্থলে দায়িত্ব পালন করতে পারে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের পাঠদান এক সিফটে রুপান্তর করা। পাশাপাশি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মনোনয়নে শিক্ষিত ও সচেতন ব্যক্তিদের গুরুত্ব দেওয়া। প্রয়োজনে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিয়ে কথা হয় প্রধান শিক্ষক সমিতির লংগদু উপজেলা কমিটির সভাপতি সুনীতি চাকমার সাথে। তিনি জানান, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার সফল বাস্তবায়নে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয়টি শ্রেণির জন্য কমপক্ষে সাতজন শিক্ষক প্রয়োজন। সরকারি অন্যান্য দফতরে তিন জনের কাজ এক জনে করা যায় কিন্তু শিক্ষকতায় তা সম্ভব নয়, কারন প্রতিদিন একজন শিক্ষকের কমপক্ষে ৫/৬ টা ক্লাস নিতে হয়। একটা ক্লাস ৪০ মিনিট করে ২৪০ মিনিট অর্থাৎ এক নাগারে চার ঘন্টা। এ চার ঘন্টা একনাগারে কথা বলার পর শিক্ষকদের আর এনার্জি থাকেনা। লংগদুতে কোন কোন বিদ্যালয়ে ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষক আর কোন কোন বিদ্যালয়ে দুই চারজন শিক্ষক কর্মরত। শিক্ষকদের ডেপুটেশন (সংযুক্তি) বদলী প্রথা বাতিল করতে হবে। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার সফল বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকের নতুন পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিতে হবে। নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত যে সকল বিদ্যালয়ে সাত জনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে সেখান থেকে কম শিক্ষক থাকা বিদ্যালয়ে পদ সমন্বয় করা জরুরি প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমকে ইমাম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া এবং সহকারি শিক্ষকদের পদোন্নতির ধীরগতির কারনে এখানে শিক্ষকের সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা অফিসেও জনবল সংকট রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন হলো বিদ্যালয়গুলোতে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগও বন্ধ রয়েছে। ফলে লংগদু উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষায় একধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে স্থগিত থাকা শিক্ষক নিয়োগটি সম্পন্ন হলে এই সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। নতুন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে সংকট সমাধানের সুযোগ তৈরি হবে।
পার্বত্যাঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগসহ বেশ কিছু দফতরে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে থাকে জেলা পরিষদসমূহ। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের সবশেষ প্রক্রিয়াটি আইনি জটিলতায় স্থগিত আছে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে। এই নিয়োগটি চূড়ান্ত হলে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকটের সমাধান হবে বলে জানান জেলা পরিষদ সদস্য আছমা বেগম। তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ডে জেলা প্রশাসকের একজন সদস্য রাখার বিষয় নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরী হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। শিঘ্রই এটি সমাধানের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে আশা করছি।