নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়িতে জালিয়াতি করে ভূয়া হোল্ডিং ও মিথ্যা জোত পারমিট দেখানো সরকারি কর্মকর্তা এবং ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা।
সোমবার(০২ এপ্রি) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লক্ষীছড়ির সাবেক ইউপি সদস্য মো: রেজাউল করিম। এসময় রুহুল আমিন৷ আলী আজম্মেদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, লক্ষীছড়ি ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো: শাহজাহান স্থানীয় ভূমি দস্যু জৈনক শাহজাহান মিয়ার নামে ভূয়া হোল্ডিং এর জোত পারমিট প্রতিবেদন দাখিল করেন। মূলত ভূয়া পারমিট দেখিয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সেগুন বাগানের কাঠ পাচার করতেন বলেও অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে বালু মহাল উজারা না দিয়ে স্থানীয় তারাত মাহমুদ শিশির গংদের দিয়ে ইউএনও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছে বলেও অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
এদিকে এসব ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ ও সামশুনাহার অবৈধ হোল্ডিং এর বিপরীতে ভূয়া জোত পারমিটের তথ্য দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন এবং লক্ষীছড়ি ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার শাহজাহান মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে ভূয়া হোল্ডিং’র জোত পারমিট প্রদান করায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেন। একই সাথে জমাবন্দি বই উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে ঘষামাঝা করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ জানানো হয়।
এই বিষয়ে লক্ষীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেন, জেলা প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে অফিসায়াল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তবে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।