নিজস্ব প্রতিবেদক, লামা ॥
কাজু বাদাম ও কফি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। আবহাওয়া-মাটি উপযোগী হওয়ায় তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ ফসল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পাহাড়ে কাজু বাদাম ও কফি চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে সরকার। এ ধারাবাহিকতায় শনিবার দিনব্যাপী বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কাজু বাদাম ও কফি চাষের ওপর উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের ৬০জন কৃষাণ-কৃষাণীর মাঝে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ‘কাজু বাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প’ -এর আওতায় স্থানীয় এনজেড একতা মহিলা সমিতি মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের পরিচালক এস এম শাহ্ নেয়াজ, বালাঘাটা হর্টিকালচার সেন্টারের পরিচালক মো. আমিনুর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. হাসান আলী ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র বর্মন এতে প্রশিক্ষক ছিলেন। প্রশিক্ষণে কাজু বাদাম ও কফি চাষের গুরুত্ব, উপযোগিতা, চাষ পদ্ধতি, জমি নির্বাচন, সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা, বাজারজাত করণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় বিস্তারিত প্রশিক্ষণার্থীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন চন্দ্র কর্মন বলেন, আবহাওয়া-মাটি কাজু বাদাম ও কপি চাষের উপযোগী হওয়ায় পাহাড়ে এ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার পাহাড়গুলোতে কাজু বাদাম ও কপি চাষে সফল হওয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা, এতে দিন দিন বাড়ছে কৃষকের সংখ্যা। কাজু বাদাম ও কপি চাষের মাধ্যমে পাহাড়ে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাতে পারবেন কৃষাণ কৃষাণীরা।