নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুুক্তিযোদ্ধা শহীদ এম আবদুল আলীর ৫৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহর নেতৃত্বে শহীদের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. রুহুল আমিন, স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মো. মোবরক হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আসমা, শহীদ এম আবদুল আলীর নাতী কবির আবদুল্লাহ তাপস, শহীদ এম আবদুল আলীর জীবনীগ্রন্থের লেখক সাংবাদিক ইয়াছিন রানা সোহেল, শহীদ আবদুল আলী একাডেমির প্রধান শিক্ষক হাজী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, রাঙামাটি প্রতিবন্ধি স্কুলের পরিচালক নুরুল আবছারসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন এবং মোনাজাত করা হয়। এদিকে দিনটি উপলক্ষে শহিদ আবদুল আলী একাডেমির পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা করা হয়। দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় কোরআন খতম ও এতিমখানায় মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ শহিদ এম আবদুল আরীর বীরত্বগাথা স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যখন সবাই নিরাপদে সরে গিয়েছিলেন তখন এম আবদুল আলী রাঙামাটিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। উল্লেখ্য শহীদ এম আবদুল আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় রাঙামাটি মহকুমা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন। ১২দিনের নির্মম নির্যাতন শেষে তাঁকে কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ কাপ্তাই হ্রদে ফেলা দেয়া হয়। সরকার ২০১৬ সালে এই বীর মুুক্তিযোদ্ধাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদান করে।