সাইফুল হাসান ॥
আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে রাঙামাটিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি করেছি। তাই পার্বত্য এলাকায় এখন শান্তি বিরাজ করছে। আমরা পার্বত্য এলাকায় এক দিনে ৪৫টি ব্রিজ ও রাস্তা উদ্বোধন করেছি। শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ে উন্নয়ন অব্যাহত আছে এবং থাকবে। শনিবার বিকালে রাঙামাটি শহীদ আবদুল শুক্কুর স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে আজ পাহাড় সমতল একসাথে আমরা যুক্ত হতে পেরেছি। সবাই সবাইকে দেখছি।
তিনি আরও বলেন, আমি দেশে এসেছিলাম যে দেশের জন্য আমার বাবা জীবন দিয়েছে, সে দেশের মানুষের উন্নয়ন করতে। আমি সন্তানদের মায়ের স্নেহ থেকে ছিন্নো করে দেশের জন্য কাজ করে গিয়েছি। আমি কখনো চাইনি দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে। তাই এখনো চাই না কারো কাছে নিজের দেশকে দিয়ে কিংবা দেশের সম্পদ দিয়ে ক্ষমতায় আসি।
শেখ হাসিনা চলমান দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় জেলে ছিলো। তার বয়স ও শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে তার ভাই বোনের অনুরোধে আমরা তাকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়েছি। তার ছেলে তারেক রহমান দেশে হাওয়া ভবন তৈরি করে দেশের সম্পদ লুটেপুটে খেয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে। পরে সে আর রাজনীতি করবে না এবং নির্বাচন করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে যায়। এখন সে সেখান থেকে হুকুম দিচ্ছে। নিজে জুয়া খেলে টাকা নষ্ট করছে আর দেশে সন্ত্রাসী করার জন্য হুকুম জারি করছে। বিএনপি হচ্ছে সন্ত্রাসী দল আর জামাত যুদ্ধাপরাধী দল।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে। শতভাগ নির্বাচন সুষ্ঠু হোক এবং শান্তিপূর্ণ হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। একইসাথে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের চলমান উন্নয়ন অব্যহত রাখতে সকলে ৭ জানুয়ারি আওয়ামীলীগকে আবারও নির্বাচিত করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
প্রচারণা সভায় রাঙামাটির সাথে যুক্ত হলে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর সঞ্চালনায় পার্বত্য জেলার সার্বিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি এসময় বলেন, রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন এখনো উন্নত হয়নি, সে বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি আশা করছি। তিনি পাহাড়ের রাজনীতির পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, পাহাড়ে শান্তি চুক্তির সময় একটি আঞ্চলিক দল থাকলেও তা এখন ৬টিতে ভাগ হয়েছে। তাদের অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি আবারও বেড়ে গিয়েছে।
পরে ২৯৯নং রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী দীপংকর তালুকদার বলেন, পাহাড়ে উন্নয়ন হচ্ছে সামনেও উন্নয়ন অব্যহত থাকবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনের পর প্রথম সংবর্ধনা রাঙামাটিতে দিতে চান বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভার শেষে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
প্রচারণা জনসভায় যোগ দিতে দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে সভাস্থলে এসে জড়ো হোন।