নিজস্ব প্রতিবেদক, লংগদু ॥
‘১৯৮৯ সালে লংগদু গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জন্ম হয়। জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি অসংখ্য নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত হয়েছে এই সবুজ পাহাড়। এরপর ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে জুম্ম জনগণের অধিকার আদায়ে লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং জুম্ম জনগণের অধিকার আদায়ে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ লংগদু থানা শাখার ৩য় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সভাপতি অনঙ্গ লাল চাকমা। রবিবার সকালে উপজেলা সদরের তিনটিলা বিহারগেট এলাকায় উপজেলা হেডম্যান এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ লংগদু থানা শাখার সভাপতি রুপক চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুজন চাকমা (ঝিমিত)। অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক পিসিপি নেতা ও আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা, জেএসএস লংগদু উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুশীল জীবন চাকমা, যুব সমিতির রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি রুপম চাকমা, পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমা, দীঘিনালা থানা শাখার সভাপতি বিবেক চাকমা ও রাকেশ চাকমা প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, উন্নয়নের নামে পাহাড়ে ভূমি দখল বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও ভূমি কমিশন আইন দ্রুত কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি জুম্ম জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা ও পাহাড়ে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যুব ও ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় অতিথিদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেএসএস লংগদু থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তি রঞ্জন চাকমা, আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অজয় মিত্র চাকমা, সংরক্ষিত নারী সদস্য স্মরণিকা চাকমা, ইউপি সদস্য যতীন চাকমা, লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিনয় চাকমাসহ জেলা ও থানা শাখার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে রাকেশ চাকমাকে সভাপতি ও ত্রিশন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক এবং পূর্ণ চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনিত করে মোট ২১ সদস্যের লংগদু থানা কমিটি ঘোষণা করা হয়।