শিক্ষাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমাজের সকল স্তরের সচেতন ব্যক্তিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, ইউএনডিপি-সিএইটিডিএফ ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ যৌথভাবে পরিচালিত পার্বত্য চট্টগ্রাম মৌলিক শিক্ষা সহায়তাদান প্রকল্পটি চলতি মাসে মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। প্রকল্প স্থাপিত বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত স্কুলগুলোকে চালিয়ে নিতে উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, এসএমসি কমিটি ও অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষা সমাজ ও জাতির মেরুদন্ড। সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষিত করতে নিজ নিজ কমিউনিটিকে এগিয়ে আসতে হবে।
সোমবার সকালে ইউএনডিপি-সিএইটিডিএফের সহযোগিতায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এডুকেশন এক্সিক্ট সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এ আহ্বান জানান।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও শিক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মোস্তফা জামান, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ, ইউএনডিপি-সিএইটিডিএফ এর চীফ ইম্পিøমেনটেশন বিল্পব চাকমা, ডিস্ট্রিক ম্যানাজার ঐশ্বর্য চাকমা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপি-সিএইটিডিএফের শিক্ষা কর্মকর্তা শ্যামল মিত্র চাকমা।
পার্বত্য এলাকার শিক্ষা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার দিক দিয়ে এগিয়ে নিতে সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে ২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম মৌলিক শিক্ষা সহায়তাদান প্রকল্পটির বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপন করেন ইউএনডিপি-সিএইটিডিএফ এর কনসালটেন্ট মোঃ মহিউদ্দিন।
সভায় চেয়ারম্যান বলেন, ইউএনডিপি-সিএইটিডিএফ ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত পার্বত্য চট্টগ্রাম মৌলিক শিক্ষা সহায়তাদান প্রকল্পের বিদ্যালয়গুলো নিয়মিত চলমান রাখার নিমিত্তে আগামী মাসেই একটি সভা করা হবে। সভায় জেলায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও এনজিও কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। তিনি ইউএনডিপি-সিএইটিডিএফ জেলায় স্থাপিত স্কুলগুলো জাতীয়করণের লক্ষ্যে পরিষদ হতে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং স্ব স্ব স্কুল শিক্ষকদের স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেন।