ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউটের(বিএসপিআই) ৫২ ব্যাচের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সিভিল উড বিভাগের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর এজাবুর আলমের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিভিন্ন অভিযোগে অধ্যক্ষ আবদুল মতিন হাওলাদারের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। গত মঙ্গলবার বিকেল হতে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ বুধবারও ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত শিক্ষককে এজাবুর আলমকে বিএসপিআই থেকে প্রত্যাহার এবং অধ্যক্ষ মতিন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে পদত্যাগ করেন।
ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক অভিযুক্ত শিক্ষক এজাবুর আলমকে বিএসপিআই হতে প্রত্যাহার করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে সংযুক্তের নির্দেশ দেন। তিনি আরোও জানান, ছাত্ররা আমার পদত্যাগ চেয়েছেন। কিন্তু আমি তো কখনো অন্যায় কাজে ছিলাম না, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের বিপক্ষেও ছিলাম না। তবে কেন তাঁরা আমার পদত্যাগ চাচ্ছে।
প্রসঙ্গত: ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট ইনস্টিটিউটের ৫২ ব্যাচের এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সিভিল উড বিভাগের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর এজাবুর আলমের (৩৫) বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ এর নিকট অভিযোগ দেন। অভিযোগ পাওয়ার পর একই বছরের ৩০ আগস্ট সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেন এবং ঐ ছাত্রীর সাথে কথা বলে অভিযুক্তের সত্যতা পান।
পরবর্তীতে যৌন হয়রানি অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক মো.এজাবুরকে একই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ভোলা পলিটেকনিক্যালে বদলি করা হলেও চলতি বছরের মে মাসে তিনি কাপ্তাই বিএসপিআই এ আবারও যোগদান করেন।