শংকর হোড় ॥
আগামী ১৮জুন রাঙামাটিতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে প্রায় ৮২ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬মাস থেকে ১১ মাস পর্যন্ত নয় হাজার ৩৫৫ জন ও ১২-৫৯মাস পর্যন্ত ৭১ হাজার ৮৩৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে এক কর্মশালায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্টে তথ্য উপস্থাপন করেন মেডিকেল অফিসার আবু ফয়সাল ছোটন।
এসময় তিনি বলেন, শিশুর রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধ করে। শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অন্ধত্বের চারটি প্রধান কারণের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত কর্ণিয়ার রোগ ও কর্ণিয়ার ক্ষত অন্যতম। এই ভিটামিনটির অভাবে শিশু রাতকানা হয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ করে। দেহ বৃদ্ধি, বিশেষ করে দেহের অস্থি কাঠামোর বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’-এর সংযোগ রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ জীবাণু সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে। তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শরীরে উৎপন্ন হয়। প্রাণীজ ও উদ্ভিজ্জ খাবারের মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ‘এ’ পূরণ করা সম্ভব হয়। এজন্য ডিম, ছোট মাছ, আম, গাজরসহ বিভিন্ন খাদ্য গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসার সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহম্মদ ও প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল।
এসময় সিভিল সার্জন বলেন, শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। আগামী ১৮ জুন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও দুর্গম অঞ্চলে একদিনেই সব বাচ্চাদের ক্যাপসুল খাওয়ানো সম্ভব হয় না। এজন্য সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। তবে কেউ যাতে এই ক্যাম্পেইন থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।