নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
হাসপাতালগুলোতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সরকারি যে বরাদ্দগুলো দেওয়া হয় তার সুষ্ঠু বণ্টন ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে মাঠ পর্যায়ে আরো বেশি সচেতনতা প্রয়োজন। আর এসব বিষয় গুরুত্বসহকারে প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা অগ্রগণ্য। সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক অর্জনের পথ উন্মুক্ত করতে গণমাধ্যমকমীদের এগিয়ে আসার তাগিদ ইয়েস বাংলাদেশের এক মতবিনিময় সভায়। রাঙামাটিতে ‘শিশু অধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা তুলে ধরেন বক্তারা। বুধবার সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অপরাজেয় বাংলাদেশ ও প্লান ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ওয়াই মুভস্ প্রকল্পের মাধ্যমে আয়োজিত ডায়লগ সেশনে জেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকর্মীরা কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে তৃণমূলে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে, তা দূরীকরণে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা একমত প্রকাশ করেন। পরে রাঙামাটি জেলার শিশু অধিকার পরিস্থিতি, প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, যৌন হয়রানী ও জেন্ডার ইস্যু এর ওপর জেলার সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন। ডায়লগ সেশনে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনের ২০ সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেন।
ইয়েস বাংলাদেশের মিডিয়া উইংসের সদস্য ও এনসিটিএফ অ্যালুমনাই সাংবাদিক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, এটিএন বাংলার রাঙামাটি প্রতিনিধি পুলক চক্রবর্তীসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।
সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে জেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার পরিস্থিতির নানা নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, একটি জেলায় বছরে কত সংখ্যক শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে, স্কুল থেকে ঝরে পরছে, কোভিড-১৯-এর পর কতজন শিশু নতুন করে শ্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে, কিংবা তাদের পুনর্বাসনে সরকারি দপ্তরগুলো কী কী ভূমিকা রেখেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান দপ্তরগুলোতে সহজে পাওয়া যায় না যা সত্যি দুঃখজনক। শুধু তাই নয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশু অধিকার বাস্তবায়ন সম্পর্কিত নানা কমিটি থাকলেও সেগুলোর দৃশ্যমান কার্যকারিতা চোখে পড়ে না যার দরুণ শিশুরা তাদের অংশগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব সংকট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সাংবাদিকরা আগামী দিনে শিশু অধিকার বিষয়ক স্থানীয় দুর্বলতা তুলে ধরে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেন।