নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙামাটি শহরে তৃতীয় শ্রেণির এক কন্যা শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাহাব উদ্দিন(৭০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সাহাব উদ্দিন রাঙামাটি শহরের পুরাতন হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা। ভিকটিম কন্যার মা কোতয়ালী থানায় মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ গত সোমবার(১২ মে) রাতে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থেকে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে গ্রেপ্তার করে। পরদিন মঙ্গলবার আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
এই ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কোতয়ালী থানায় গত ১৭/০৩/২০২৫ তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০) এর ১০ তৎসহ ৩২৩/৫০৫ পেনাল কোড এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে ভিকটিমের মা উল্লেখ করেন, ‘গত ১৬ মার্চ রবিবার আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় আমার মেয়েকে এলাকার মুদি দোকানে অল্প সদাই আনতে পাঠায়। ৮-১০ মিনিটের মধ্যেই সে বাজার সদায় নিয়ে ঘরে এসে কাঁপছিল আর কান্না করতেছিল। আমি কি হয়েছে জানতে চাইলে সে বলল, দোকানদার সাহাবউদ্দিন (৭০) তাকে জোর পূর্বক দোকানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে নধফ ঃড়ঁপয করেছে, তার প্রাইভেট জায়গায় হাত দিয়েছে। সে চিৎকার করতে চাইলে মুখ চেপে ধরে, ২টা চকলেট দিয়ে বলে তোমার মাকে এসব কিছু বলিও না, বললে তোকে মেরে ফেলব। আমার শিশু মেয়ের মুখে এ ঘটনা শুনে, আমি ঐ ব্যক্তির দোকানে প্রতিবাদ করতে গেলে তার ছোট ছেলে নাঈম ও তার সহধর্মীনি নাছিমা তাদের দোকানে থাকা লাঠিসোঠা দিয়ে আমাকে শারীরিক আক্রমণ ও অশ্লীল গালাগালি করে। তাদের আক্রমণের ফলে আমার শরীরে বিভিন্ন আঘাতের ক্ষত চিহ্ন হয়। পরে মা- ছেলে মিলে সাহাব উদ্দিনকে বাসার ভিতর নিয়ে যায়। আমি সাথে সাথে এ বিষয়টি রাঙামাটি কতোয়ালী থানা পুলিশকে ইনফর্ম করলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই তিনি গাঁ ঢাকা দেন।’
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন বলেন, মামলার পর থেকেই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলাম। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের মাধ্যমে আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কোতয়ালী থানার এসআই মহিউদ্দিন আলমগীর ও তার সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে তাকে লক্ষীপুর জেলাধীন রামগতি থেকে গ্রেপ্তার করে রাঙামাটিতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত উক্ত আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এই মামলায় এজাহারনামীয় আরো দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।