বিপ্লব ইসলাম, লংগদু ॥
দূর্বা ঘাসে কিংবা শাক-সবজির কচি ডগায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির জানিয়ে দিচ্ছে শীত আসছে। ভোর সকালে পড়তে শুরু করেছে হালকা কুয়াশার শিশির। সেই সাথে অনুভূত হচ্ছে মৃদু ঠান্ডা। ‘হেমন্ত তার শিশির ভেজা আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়, চুপে চুপে রং আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়।” কবি সুফিয়া কামালের লেখা ‘হেমন্ত’ কবিতায় বাংলার হেমন্তের রূপ নিবিড়ভাবে ধরা দিয়েছে প্রকৃতিতে।
এদিকে শীতের আগনমনী সারাদেশে নানান উৎসব হলেও পার্বত্য অঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। গরম কাপড়ের অভাব আর প্রচ- শীতে এসব মানুষের বড় অংশই কষ্ট করেন এ সময়,তাছাড়া রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার অধিকাংশ মানুষই মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। জেলেরা নদীতে থাকা হয়ে পরছে খুবই কষ্ট সাধ্য, বিশেষ করে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পুরো সময় জুড়ে ব্যাপক শীতে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে চলে।
মধ্য ইয়ারিংছড়ী এলাকার বাসিন্দা জহুরুল হক বলেন, মোর পরিবারের চলার একমাত্র মাধ্যম অইলে জাল এইফির মাছ ধরার সিজনে এমনিতেই পানি কম অইলহে আর হের ফিন্নে ভালো হইরা মাছ পাইনাই এরই মধ্যে আবার আইয়া পরছে শীত এহনতো মোগোর জইন্নে বাড়ি থাহাই কষ্ট অইয়া পরবেআনে নদীতে থাকমু কিবিল হইররা কেডা জানে। অন্য দিকে ছোট মাহিল্যার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, এহন যে শীত লাগে সামনে মনে অয় আরো বেশি পরবো হপ্তায় আমার (১৭০০ টেকা) কিস্তি আমি কিস্তি দেই জাল মাইরা শীতে মনে অয় কিস্তি দিতেই বেহা অইয়া যামু সংসার চালামু কি দিয়া আল্লায় জানে।