নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় রাঙামাটিতে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
সকালে বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদের পক্ষে সদস্য সবির কুমার চাকমা ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দীসহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। এতে আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, রাজনীতির মহান কবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কোমল হৃদয়ের অধিকারী। শিশু-কিশোরদের প্রতি তার বাৎসল্য ছিল অপরিসীম। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে শিশুদের ছিল অবাধ বিচরণ। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আগামীতে দেশ গড়ার নেতৃত্ব তারাই দেবে। বঙ্গবন্ধু কোনো শিশুদের সমাবেশে গেলে বা শিশুরা বঙ্গভবনে তাঁর সংস্পর্শে আসলে তিনি তাদের সঙ্গে মিলে-মিশে একাকার হয়ে যেতেন।
বক্তারা আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল একটি জাতি হিসেবে গড়ে তোলার সংগ্রামও শুরু করেছিলেন জাতির পিতা। কিন্তু এর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়ে পড়ে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেট ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় পিতার শরীর। সেই কালরাত কেড়ে নেয় স্ত্রী-সন্তানসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব সদস্যের জীবন। কেবল দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আজ বাবার আদর্শ আর স্বপ্নকে সামনে রেখেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বাংলাদেশকে, সোনার বাংলার পথে।
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।