নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি ।।
খাগড়াছড়িতে সড়কের জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার অভিযোগ পেয়ে তা অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। মঙ্গলবার দুপুরে সদরের চেঙ্গী ব্রীজ সংলগ্ন খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে এ অভিযান চালায় দুদক রাঙামাটি সমন্বিত কার্যালয়। এ সময় দুদকের রাঙামাটি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহমদ ফরহাদ হোসেন, খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক উপস্থিত ছিলেন।
দুদক জানায়, সড়কের জায়গা দখল করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে এমন অভিযোগ আসে হটলাইনে। তিন সদস্যের একটি দল অভিযানে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। সত্যতা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়েছে সহকারী পরিচালক আহমদ ফরহাদ হোসেন।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অভিযুক্তদের নোটিশ দেয়া হচ্ছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। দুদকের অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, অংশীদার হিসেবে সড়ক বিভাগকে অবগত করেন দুদক। রেস্টুরেন্টে অভিযানের বিষয়টা নিশ্চিত করে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, হটলাইনে অভিযোগ পেয়ে সেখানে সরেজমিনে খোঁজ খবর নিতে যান দুদক। দখলের ব্যাপারে রেস্টুরেন্ট মালিকের যুক্তির বিষয়টিও দেখবে দুদক। তবে সড়কের জায়গা দখল করে রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলার বিষয়ে দুদক অনুসন্ধানে আসলে তা খতিয়ে দেখছে তারা। রেস্টুরেন্ট মালিকের যুক্তির বিষয়েও বিবেচনা করে দেখবে দুদক। এছাড়া, সার্ভে করে সড়কের জায়গা দখল উদ্ধারসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দেখবে প্রশাসন।
অভিযুক্ত রেস্টুরেন্টের মালিক কেমি চাকমা জানান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তারা। একইসাথে সড়কের উভয় পাশের জায়গার সঠিকভাবে পরিমাপ ও নির্ধারণ করার তথ্য বা রিপোর্ট পেলে তাদের প্রতিষ্ঠানের বাড়তি অংশ কতোটুকু তা সরিয়ে নিতে সহজ হবে। এদিকে, চেঙ্গী ব্রীজ সংলগ্ন খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের জায়গা দখল করে হোটেল গ্রীন স্টার নামে বহুতল ভবন গড়ে তোলার অভিযোগ থাকলেও সেখানে যাননি দুদক ও সড়ক বিভাগ। হোটেলটির মালিক পলাতক জেলা আ.লীগের নেতা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়ার। তাঁর মালিকানাধীন এ হোটেলটি গড়ে তোলার সময় পতিত সরকারের প্রভাব বিস্তার করে সড়কের জায়গা দখল এবং পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠে। দীর্ঘদিনের অভিযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনধরনের তৎপরতা জেলা আ’লীগ নেতা কল্যাণ মিত্র বড়ুয়ার বিরুদ্ধে।