নিজস্ব প্রতিবেদক, লামা ॥
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় সড়কে ডাকাতির মামলায় ছয় যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা, পাশের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদিঘি ও উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা বাজার এলাকার বাসিন্দা নুর আলমের ছেলে মো. খাইরুল আমিন (২১), শামুকছড়া এলাকার বাসিন্দা দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম মানিক (২২) ও মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা মো. ফজলু রেনু মিয়ার ছেলে মো. সালা উদ্দিন (২৫), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হাঁসেরদিঘি এলাকার বাসিন্দা মাহামুন নবীর ছেলে মো. দিদার (২৫), উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়ার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে আবুল শরীফ (২২) ও সোনারপাড়ার বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৫)। এ সময় তাাদের কাছ থেকে ৩টি মোটর সাইকেল ও ১টি স্মার্ট ফোন আলামত জব্দ করা হয়। লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন রবিবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিকিং এর মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, গত ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাহেদ হাসান মোটর সাইকেল যোগে চকরিয়া যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি সড়কের পাঁচ মাইল এলাকার হোমল্যান্ড বাগানের সামনে পৌছলে মুখোঁজ পরিহিত ৪ দুর্বৃত্ত মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। পরে দুর্বৃত্তরা ভয় দেখিয়ে একটি বাজাজ ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটর সাইকেল, একটি স্মার্ট ফোন ও বিভিন্ন কাগজপত্রসহ ছিনিয়ে নিলে ভুক্তভোগী জাহেদ হাসান এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এ প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেনের দিক-নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের গ্রেফতারে মাঠে নামেন। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জামিল আহমদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় সদস্যরা উপজেলার ইয়াংছা বাজার এলাকা থেকে সন্দেহ ভাজন খাইরুল আমিন রবিনকে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত খাইরুল আমিন রবিনের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে অপর ৫ যুবককে গ্রেফতার করেন। এ সময় আসামিদের হেফাজতে থাকা আলামত একটি ১৫০ সিসি একটি পালসার, একটি সুজুকি জিক্সার, একটি ডিসকভার মোটর সাইকেল ও একটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদে সড়ক দস্যুতার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করায় গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন।