সুহৃদ সুপান্থ
ভোটের মাঠে যত নতুনই হোন না কেনো, রাজনীতির মাঠে ততটাই পুরনো তিনি। ছেলেবেলায় ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে যে হাতেখড়ি সেটা পূর্ণতা মেলেছে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এসে। মাঝে যুবলীগ,পৌর আওয়ামীলীগের রাজনীতি তাকে করেছে আরো শক্তপোক্ত। পাশাপাশি পেশাগত জীবনে আইনপেশায় জড়িত থেকে মানুষের সুখে দুখে পাশাপাশি থাকার বিরল স্বভাব তার গ্রহণযোগ্যতা আরো বাড়িয়েছে সব মহলেই। তিনি এ্যাডভোকেট বিপ্লব চাকমা,বরাবরই শহরবাসির কাছে একনামেই পরিচিত। তবে এবারের ভোটের মাঠে নিজের অবস্থান বেশ শক্তভাবেই জানান দিলেন যেনো তিনি।
প্রচারে তরুণদের সমন্বয়,সব দল মত পথ জাতের সাথে নিবিঢ় সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ তার চিন্তার বৈচিত্র্যে এনেছে আরো ভিন্নতা। মাঠে নামার আগেই বিলি শুরু করেছেন নিজের পরিকল্পনা আর ভাবনার ‘ইশতেহার’,যা হৃদয় ছুঁয়েছে বহু মানুষেরই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে আইনপেশায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি চাকমা সার্কেল এর অধীন ৫৪ নং তারাবুন্যা মৌজার হেডম্যান হিসেবেও পালন করছেন নিজের দায়িত্ব। আছেন নানান সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথেও।
নিজের ইশতেহারে বিপ্লব বলেছেন-নির্বাচিত হলে রাঙামাটি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে রাঙামাটির স্বাভাবিক,চলমান গতিধারা বেগবান রাখার পাশাপাশি দল মত নির্বিশেষে সকলের ঐক্যের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করবেন।’
পরিবেশ সচেতন বিপ্লব বলেছেন,‘ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে পানির প্রাকৃতিক উৎস হারিয়ে যাচ্ছে,শুষ্ম মৌসুমে সৃষ্টি হচ্ছে সুপেয় পানির সংকট। সেই সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ইউনিয়নবাসি কৃষিপণ্য ব্যবসায়ি ও উৎপাদনকারিদের জন্য সমবায় সমিতি গঠন করবেন। এবং শহরের বাজারগুলোতে বিশ্রামাগার,গণশৌচাগার নির্মাণ করে দেবেন। অবিক্রিত কৃষি পণ্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম চালু এবং ইউনিয়নবাসি বাজারের আগের দিন এসে যাতে স্বল্পখরচে শহরে থাকতে পারে সেইজন্য আবাসিক হোটেল প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবেন।
তার উপর ভোটারদের বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানিয়ে ইশতেহারে বিপ্লব বলেছেন, জাতি ধর্ম বর্ণ বা কোন কারণে আপনারা কোন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে আপনাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রাঙামাটি সদর উপজেলাবাসির স্বপ্নসারথি হওয়ার আকাংখা জানিয়ে ইশতেহারে বিপ্লব আরো বলেছেন,চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে দৃষ্টির আড়ালে থেকে যাওয়া শ্রমিক,দিনমজুর,গৃহপরিচারিকা,রাজমিস্ত্রি,হকার,ফার্নিচার মিস্ত্রি,চালকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের পাশে থাকবেন তিনি।
দার্শনিক প্লেটোর উদ্বৃতি দিয়ে ইশতেহারে বিপ্লব বলেছেন-‘ যত ধীরেই হোক, কেউ যদি ক্রমাগত এগোতে থাকে তাকে কখনো নিরুৎসাহিত করোনা।’ তাই সবাইকে পাশে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন-‘জয় হোক অসাম্প্রদায়িক চেতনার’।
রাঙামাটি সদরে প্রার্থী হওয়া পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে সবচে উচ্চ শিক্ষিত এবং পাহাড়ী বাঙালী সকল সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠা প্রার্থী হিসেবে নিজের প্রতীক উট মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তরুণ এই আইনজীবি।
বিপ্লব বলেন, জয় পরাজয় জীবনেরই অংশ। জনগণ চাইলে হয়ত বিজয়ী হব। তবে এটুকু কথা দিতে পারি,যে বিশ্বাস ও মর্যাদায় আমাকে নির্বাচিত করবেন ভোটাররা, আমি জীবন দিয়ে হলেও তার মর্যাদা রক্ষার চেষ্টা করব।