‘প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সকলে, একসাথে, এখনই’ এই শ্লোগানে রবিবার সকালে হ্যাপির মোড়, বনরূপাতে টিআইবি’র সারা দেশের ৪৫ টি অঞ্চলের ন্যায় রাঙামাটিতেও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর উদ্যোগে প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমার সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে ধারণা পত্র পাঠ করেন ঋতু দে ও রুনি চাকমা। টিআইবি’র ইয়েস লিডার হৃদয় বড়–য়া এর সঞ্চালনায় বক্তব্য প্রদান করেন পরিবেশ বিষয়ক এসিজি’র সমন্বয়কারী বাবুল মারমা, ইয়েস সদস্য মো: মোস্তাফা, ইয়েস সদস্য নিশা চাকমা, সনাক সদস্য গৈরিকা চাকমা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, রাঙামাটি শহরে প্লাস্টিক বর্জ্যরে অব্যবস্থাপনা পরিবেশ সুরক্ষায় একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। পৌরসভার পচনশীল ও প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথকীকরণ এবং পুনঃপ্রক্রিয়াজতকরণের সক্ষমতা এবং পদক্ষেপের ঘাটতি বিদ্যমান। ফলে প্লাস্টিক বর্জ্যরে একটি বড় অংশ কাপ্তাই লেকের তলদেশে জমা হয়। এই বর্জ্য লেকের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে ব্যয়বহুল করছে, জলজ বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করছে, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবকে তরান্বিত করছে।
বক্তারা আরো বলেন, রাঙামাটি শহর পর্যটনের জন্য অপার সম্ভাবনাময় হলেও যত্রতত্র প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার এবং এগুলো লেকের পানিতে গিয়ে পরিবেশ দূষণ করছে। বক্তারা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার বন্ধের যথাযথ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিতের অনুরোধ করেন এবং বেশি বেশি গাছ লাগানোর অনুরোধ জানানো হয়।
মানববন্ধনে প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কাপ্তাই লেকের দূষণ বর্তমানে অতিমাত্রাই বৃদ্ধি পেয়েছে। লেকের দূষণ রোধে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পচনশীল আর প্লাস্টিক আলাদাভাবে প্রসেস করতে হবে। কাপ্তাই লেকে প্লাস্টিক কণা পড়ার কারনে সেটা মৎস্য সম্পদের ক্ষতি এবং দীর্ঘমেয়াদে মানুষের শরীরে বিভিন্ন অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি স্থানীয় পর্যায়ে সনাক, ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস), অ্যাকটিভ সিটিজেন্স গ্রুপ (এসিজি), পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন, পৌরসভা এবং প্রশাসনকে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি ও কাপ্তাই লেক দূষণরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।(বিজ্ঞপ্তি)