সাগর চক্রবর্তী কমল , মাটিরাঙ্গা
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক দেশে গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান শ্লোগানে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বর্ষা মৌসুমে প্রত্যেক নাগরিককে অন্তত তিনটি চারা গাছ লাগানোর কথা থাকলেও মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটেছে তার উল্টো ঘটনা।
পরিষ্কার পরিছন্নতা, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ও জনবল সংকটের অভিযোগ দীর্ঘদিনের হলেও নতুন করে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে।
সরকারি গাছ কাটতে গেলে সংশ্লিষ্ট্য বিভাগের রেজল্যুশন, টেন্ডার ও বন বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসব না করে হাসপাতালের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় লাগানো গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সরজমিনে দেখা যায়, জনসংখ্যা ও আয়তনের দিক থেকে বৃহত্তর খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা ৪৯৫.৪০ বর্গকিমি আয়তনে ৭টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের জন্য কাগজে কলমে ৩১শয্যা হাসপাতাল হলেও বাস্তবে অবকাঠামোগত ভাবে রয়েছে একতলা বিশিষ্ট্য ১০ বেডের একটি মাত্র হাসপাতাল। কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতা, চিকিৎসার অব্যবস্থাপনা, অপরিস্কার অপরিচ্ছন্নতা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাসপাতালের রোগী ও সাথে আসা লোকদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পানির কল, এম্বুলেন্স, পানি অপসারনের ড্রেন, হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনে অধিকাংশ পরিচ্ছতার অভাবে পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে। সিটের অভাবে রোগীরা হাসপাতালের বারন্দার মেঝেতে অপরিচ্চন্ন ও পরিত্যাক্ত পরিবেশে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এরি মাঝে শীতল ছায়া দানকারি ,সৌন্দর্য্য বর্ধন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় লাগানে দেবধারু গাছ কেটে আরো সংকট সৃষ্টি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ও পাশে ছোট বড় ২১টি গাছ কাটা হয়েছে। তম্মধ্যে বড় ৪টি গাছ গোড়া দিয়ে এবং ১৭ টি গাছের মাঝ খান বরাবর কাটা হয়েছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খায়রুল আলমের সেচ্ছাচারিতা কারনে রোগীরা সঠিক সেবা পচ্ছেনা। সম্প্রতি কালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নামে অনুমোধনহীন ভাবে গাছ কাটায় তিব্র নিন্দা জানিয়ে শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় মো: সাহাদাৎ হোসেন বলেন, হাসপাতালের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য ডা: তসলিম উদ্দিন সাহেব ২০ বছর আগে গাছ গুলো লাগিয়েছেন। হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার নামে অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কাটার তিব্র নিন্দা জানিয়ে সংশ্লিট্যদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: খায়রুল আলম বলেন, গাছের পাতা পড়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যার কারণে গাছ কাটা হয়েছে। প্রতি বছর আমরা এ গাছ কেটে থাকি। আবার ডাল পালা উঠে যাবে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজি চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।