কাইমুল ইসলাম ছোটন
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার (এমপি) বলেছেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষেধের সময় জেলেরা কষ্টে থাকেন। তাই জেলেরা যেন অবৈধ ভাবে মাছ না ধরে সরকারি নির্দেশনায় তাদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হচ্ছে। পোনা না ধরলে মাছ বড় হবে, জেলেরা উপকৃত হবেন। সরকার সবসময় জেলেদের পাশে আছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত করণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাছের পোনা অবমুক্তকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার ৭০ মেট্রিক টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে। সরকারি কার্যক্রমে যেন বিঘ্ন না হয়, সব পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে কিনা তা নজরদারিতে রাখার কথা বলেন তিনি।
আজ দুপুরে কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ (চাল) বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
জানা যায়, এবার ২৬৪৫৯ মৎস্যজীবী ভিজিএফ চাল পাবেন এবং ৭০ মেট্রিক টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তাছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) কাজী আশরাফ উদ্দীন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াহিয়া মাহবুব, চট্টগ্রাম অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার আ.ফ.ম. নিজাম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ রাজু, মৎস্যজীবীলীগের রাঙামাটি জেলার সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া এবং জেলেদের পক্ষে শহর আলী।
এ সময় বক্তারা বলেন, কাপ্তাই লেকের গুরুত্ব অপরিসীম। হাজার হাজার পর্যটকক দেখতে আসেন। বর্তমানে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে এবং একই সাথে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির গুণাগুণ ভালো হওয়ায় মাছ উৎপাদন বেশি। তাই নিষেধের সময় মাছ ধরা বন্ধ করলে, মা মাছ রক্ষা পাবে এবং জেলেরা উপকৃত হবেন। এদিকে সহযোগিতার পরিমাণ আরও বাড়ানোর জন্য কথা বলেন জেলেরা।
তাছাড়া সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে এবং জেলেদের নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশসহ বাংলাদেশ পুলিশ পাশে থাকবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ সাজু।
উল্লেখ্য যে, মাছের প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধির জন্য (২০ এপ্রিল থেকে ১৯ জুলাই) পর্যন্ত তিন মাস সব ধরনের মাছ ধরা এবং বাজারজাতকরণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।