নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সাংবাদিক মোস্তফা কামালের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাঙামাটিতে স্মরণ সভা, মিলাদ মাহফিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাব কনফারেন্স রুমে সাংবাদিক মোস্তফা কামাল স্মরণসভা পরিষদের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক মোস্তফা কামাল স্মরণসভা পরিষদের আহ্বায়ক রমজান আলীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একেএম মকছুদ আহম্মদ, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম, প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সনাকের সভাপতি নিরূপা দেওয়ান, রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিক, সাবেক প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল আলম, সাবেক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সাবেক জাতীয় দলের ফুটবলার ও জেলা ক্রীড়া সহ সভাপতি বরুণ দেওয়ান, রাঙামাটি শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ এসএম মহিউদ্দিন মিন্টু, সুজনের সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতিয়ার, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল স্মরণসভা পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শংকর হোড়, রিজার্ভমুখ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দাশ দেবু। সাংবাদিক মোস্তফা কামাল স্মরণসভা পরিষদের সদস্য তাসনিফ হায়দার নির্জন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মোস্তফা কামাল স্মরণসভা পরিষদের সদস্য ও আপার রাঙামাটির বাজার চৌধুরী মো. মোস্তফা কামাল।
এসময় বক্তারা সাংবাদিক মোস্তফা কামালের বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে মোস্তফা কামালের বিচরণ ছিল না। সব জায়গায় তিনি তাঁর কাজের স্মৃতিচিহ্ন রেখে গেছেন। শিক্ষা, সাংবাদিকতায়, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সফলতার সাথে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোনও কাজ নিয়ে সমস্যা হলেই মোস্তফা কামালের কাছে গেলে তার একটা সমাধান বের হয়ে যেত। তাঁর কাছে কেউ কাজ নিয়ে গেলে সেটা পারবে না কখনোই একথাটি বলেননি। তাঁর অকালে চলে যাওয়া রাঙামাটির জন্য ক্ষতি। যে ক্ষতি কোনও পূরণ হবে না। ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে তাঁর মানবিকতা সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
স্মরণসভা শেষে মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা শফিউল আলম আল কাদেরি। শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০ শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।