মিশু মল্লিক
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ী ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সড়কের একটি কালভার্ট ডুবে যাওয়ার কারণে সাজেক-খাগড়াছড়ি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেকে যাতায়তের পথ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। সাজেকের স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলমান অতি ভারী বর্ষণের ফলে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার প্রধান সড়কের একটি কালভার্ট ডুবে গেছে।
ফলে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা যান চলাচল সাময়িক বন্ধ আছে। যেহেতু সাজেকে দীঘিনালা হয়ে যাতায়াত করতে হয়, তাই সাজেকে যাতায়াতের পথও সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। তাই মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সাজেক থেকে কোন গাড়ি ছেড়ে আসেনি বা বাঘাইহাট থেকেও সাজেকে কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। তাই সাজেকে অবস্থানরত পর্যটকদের আজ সাজেকেই অবস্থান করতে হয়েছে।
সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, দীঘিনালা-বাঘাইহাট সড়ক বন্ধ থাকার কারণে সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটক যাদের আজ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তারা ফিরতে পারেননি। নতুন কোন পর্যটকও আসেনি আজ। এই মুহুর্তে সাজেকে ১৫০-২০০ পর্যটক অবস্থান করছেন এবং সবাই ভালোভাবেই আছেন।
সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, বাঘাইহাটে যাতায়ত বন্ধ থাকার কারণে সাজেকে পর্যটক যাতায়ত আজ বন্ধ ছিল। কতৃপক্ষ থেকে গাড়ি ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোন গাড়ি আসেও নি, যায়ও নি। তাই নতুন কোন পর্যটক আসেন নি এবং অবস্থানরত পর্যটকদের সাজেকেই থাকতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আজকের জন্য আমরা সব কটেজ রিসোর্টের ভাড়া ৫০% করে দিয়েছি। পাশাপাশি যাদের আজকের জন্য অগ্রিম বুকিং ছিল তাদের টাকাও রিটার্ন করার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। অগ্রিম বুকিং করা কোন পর্যটক যদি পরবর্তীতে আসতে চান তাহলে আমরা সেটা সমন্বয় করে দেব।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, দীঘিনালায় যে কালভার্টটি ডুবে গেছে সেটি রিকভার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বাঘাইহাট বাজার এবং মাচালং সেতুতেও পানি উঠে ডুবে গেছে। যেহেতু বাঘাইহাট থেকে মাচালং পর্যন্ত দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার, এই দীর্ঘ পথটি পর্যটকদের পক্ষে পাড়ি দেয়া সম্ভব নয়। তাই সাজেকে অবস্থানরত পর্যটকদের অপেক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাথে কথা বলেছি, তারা পর্যটকদের জন্য ডিসকাউন্ট দিচ্ছেন। পর্যটকদের কোন সমস্যা হবেনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।