নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি
রাঙামাটির সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নয়জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সাত মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। অপরটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজনকে পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন। এরআগে ঘটনার দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন কক্সবাজারের রামুর আবদুস শুক্কুরের ছেলে জসিম উদ্দীন (২৮), ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জের রিয়াসাদ আলীর ছেলে এরশাদুল (৩০), একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে আবুল মোহন (১৮), চান মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাবু(২০), মো. শহিদুল্লাহর ছেলে শাহ আলম (২৮), হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন(২৯), ময়মনসিংহের কাপাসিয়া এলাকার মহিউদ্দিন মোড়লের ছেলে ওলি উল্লাহ ওলি (৪০), গৌরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭) ও সাগর (২০)।
আহতরা হলেন, গাজীপুরের আখির উদ্দিনের ছেলে সামিউল উদ্দিন (১৯), ঢাকার হাসান আলীর ছেলে আমির উদ্দিন (৪৫), ময়মনসিংহের গোরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদ হাসান (২৪), ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জের আবুল হাশেমের ছেলে মো. লালন (২৭) ও মকবুল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসেন (৩২) ও কুড়িগ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে লালন মিয়া (১৮)।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার ও বাঘাইছড়ি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরীসহ বিআরটিএ কর্মকর্তা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে হতাহতদের দেখতে আসেন।
এ সময় শিরিন আক্তার বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে তারা নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা, আহত প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা জানান। একই সঙ্গে মরদেহ পরিবহনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে সাজেক থানা থেকে নিহত পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে এক এক করে সব মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
দুপুরে সাগর ও অলি উল্লাহ ছাড়া বাকিদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। অলি উল্লাহ’র পরিবারের আসলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। তবে সাগরের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বলেন, দুটি মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে। পরিবার আসলে হস্তান্তর করা হবে। কি কারণে এমন দুর্ঘটনা তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানান তিনি। ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান।
বুধবার বিকেলে গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সীমান্ত সড়কের কাজ করতে মালামাল ও শ্রমিকসহ উদয়পুরে যাচ্ছিল। এ সময় ৯০ ডিগ্রি নামক এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হয়। আহত ১০ জনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আনা হলে আরও ৪জনের মৃত্যু হয়। রাতেই দুইজনকে ঢাকায় আশংকাজনক অবস্থায় পাঠানো হয়।