জিয়াউল জিয়া
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যেগে ৩ নভেম্বর যথাযোগ্য মর্যদায় জেল হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর, সহ-সভাপতি মো. রফিকুল মাওলা, ত্রিদিব কান্তি দাশ, যুগ্ম সম্পাদক সন্তোষ কুমার চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাওয়াল উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগ সভাপতি মো. জাহিদ আকতার, জেলা মৎস্যজীবিলীগ সভাপতি উদয়ন বড়–য়া, জেলা শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুল আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান সহ বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায় এই দিনটি। পনেরই আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনি ও ৭১’র পরাজিত শক্তিরা সেই কারাগারের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় নেতাদেরকে হত্যা করে।
আলোচনা সভায় দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে হত্যাকারীরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিবর্তন ও এদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরে জেলের ভিতর জাতীয় চার নেতাকে নৃশংস হত্যাকান্ডটি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাকান্ড।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত হরতাল-অবরোধ ডেকে নিজারেই ঘর থেকে বের হয় না। এই কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংহিসতা কমাকান্ড চালিয়েছে। সাধারণ মানুষ হরতাল-অবরোধ পছন্দ করছে না। তারা আয় রোজগারের জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের লোকজনও রবিবার থেকে শান্তি সমাবেশ করবে।