নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ইউপিডিএফের সংগঠক রূপান্ত চাকমার(লেজা) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে সাপছড়ির নাড়াইছড়ি গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধার করে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে পুলিশ। নিহতের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আরিফুল আমিন জানিয়েছেন, মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে রাঙামাটি সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। আত্মীয়স্বজন এসে মরদেহ শনাক্ত করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
এর আগে রবিবার সকাল নয়টায় সাপছড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছক্রাছড়া এলাকায় গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)এর সংগঠক রূপান্ত চাকমার(লেজা) গুলি করে হত্যা করে। নিহত রূপান্ত চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শিমুলতলী গ্রামে। তার পিতার নাম লক্ষ্মী চন্দ্র চাকমা।
নিহত রুপান্ত চাকমাকে নিজেদের সংগঠনের কর্মী বলে দাবি করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমার নাম উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়, রবিবার (১৪ মে) রাঙামাটি সদর উপজেলার মানিকছড়ি ছক্রাছড়া এলাকায় জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক তাদের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউপিডিএফ সদস্য রূপান্ত চাকমা ওরফে লেজা (৪৭) সাংগঠনিক কাজে যাওয়ার জন্য বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জেএসএস সন্তু গ্রুপের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করে। এতে ঘটনা স্থলেই তিনি নিহত হন। তাকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক পার হয়ে মানিকছড়ির দক্ষিণ দিকে আমছড়ি-ডিপ্পোছড়ির দিকে চলে যায়।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেএসএস রাঙামাটি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নগেন্দ্র চাকমা বলেন, এ ঘটনার সাথে জেএসএস জড়িত নয়। জেএসএস সশস্ত্র কার্যক্রম করে না।