নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছক্রাছড়া এলাকায় গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)এর এক সংগঠক নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল নয়টার দিকে দিকে রূপান্ত চাকমা ওরফে লেজা (৪৭)কে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। নিহত রূপান্ত চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শিমুলতলী গ্রামে। তার পিতার নাম লক্ষ্মী চন্দ্র চাকমা।
সাপছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীণ চাকমা বলেন, ১নং ওয়ার্ডের নাড়াইছড়ি গ্রামে লেজা নামের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। সে এই এলাকার বাসিন্দা না। তার সম্পর্কে বিস্তারিত কোন কিছু জানা নেই।
এদিকে নিহত রুপান্ত চাকমাকে নিজেদের সংগঠনের কর্মী বলে দাবি করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমার নাম উল্লেখ করে বিবৃতিতে জানানো হয়, রবিবার (১৪ মে) রাঙামাটি সদর উপজেলার মানিকছড়ি ছক্রাছড়া এলাকায় জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক তাদের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউপিডিএফ সদস্য রূপান্ত চাকমা ওরফে লেজা (৪৭) সাংগঠনিক কাজে যাওয়ার জন্য বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জেএসএস সন্তু গ্রুপের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করে। এতে ঘটনা স্থলেই তিনি নিহত হন। তাকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক পার হয়ে মানিকছড়ির দক্ষিণ দিকে আমছড়ি-ডিপ্পোছড়ির দিকে চলে যায়।
এই বিষয়ে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটির কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন জানান, আমরা শুনেছি নাড়াইছড়ি এলাকায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। সংবাদ পাওয়ার পর পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়। পথ দুর্গম হওয়ায় তারা এখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। তারা দেহটি পেলে বা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।