শংকর হোড় ও শুভ্র মিশু
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের সাপছড়ি এলাকায় লরির ধাক্কায় সিএনজিতে থাকা তিন যাত্রী নিহত হয়েছে। ঘটনায় আহত আরো দুইজনকে রাঙামাটি মেডিকেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রামে মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, আনসার বাহিনী ও স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
নিহতরা হলেন-রাঙামাটি শহরের স্বর্ণটিলা হিন্দু পাড়া এলাকার মৃত আহম্মদ মিয়ার ছেলে মো. হানিফ (৫৫), স্বর্ণটিলা এলাকার আ. আজিজ এর ছেলে নীবর হোসেন (৫০) ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গাবতল এলাকার জসীম উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল (২১)। আহতরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার মো. মজিবুর রহমান এর ছেলে সিএনজি চালক মো. নূর আজিম ও কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইছড়ি এলাকার দেবমনি চাকমার ছেলে সৈকত চাকমা।
পুলিশ জানায়, রাঙামাটি থেকে রানীরহাটগামী একটি সিএনজি অটোরিক্সা কাউখালী উপজেলার সাপছড়ি এলাকায় পৌঁছুলে পিছন থেকে আসা একটি লরি(ঢাকা মেট্রো শ ১৪-০১০১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজি ও লরিটি রাস্তার পাশে ৩০-৪০ ফুট পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এসময় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাঙামাটি মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা গেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর একজন মারা যায়। তবে লরির চালক কিংবা হেলপার কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ তিনজন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে। লরির চালক ও হেলপারকে আইনের আওতায় আনা হবে।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. নিহার রঞ্জন নন্দী জানান, এই দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছে যার মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলে মারা গেছে এবং একজন হাসপাতলে আনার পর পরই একজন মারা গেছেন। আহত দুইজনকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত নূর আজিমকে আমরা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চট্টগ্রাম পাঠিয়েছি এবং আহতদের ইন্টার্নি চিকিৎসকরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, সড়ক দুর্ঘটনারস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।