রাঙামাটির স্থানীয় এনজিও সংস্থা সিসিডিআর কর্তৃক কাউখালী থেকে দু’কোটি টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে এবং অসহায় গ্রাহকদের সঞ্চিত টাকা ফিরে দাবীতে মানববন্ধন করছে সংস্থাটির কাউখালী শাখার গ্রাহকরা। সোমবার সকাল ১১টায় কাউখালী প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন গ্রাহকরা।
সংস্থার গ্রাহক মোঃ মাইনুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায়ী মোঃ খোরশেদ আলম, রাজন বড়–য়া, মোহাম্মদ আলী, আক্তার হোসেন প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী সংস্থার কথিত চেয়ারম্যান প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আত্মগোপন করে আছে। প্রশাসন দ্রুত গরীব অসহায় গ্রাহকদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা না করলে কাউখালীর অন্যান্য সব এনজিও সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে বলে সভা থেকে হুমকী দেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ৬ জুন রাঙ্গুনীয়া ও কাউখালী থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাঙামাটির সাইনবোর্ড সর্বস্ব এনজিও সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট এন্ড রিসার্স (সিসিডিআর)’র কথিত চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আটক করে গ্রাহকরা। আটকের পর সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে গেলেও প্রোগ্রাম কোঅডিনিটর মোঃ জালাল উদ্দিন (৩২), কাউখালী ব্রাঞ্চ ম্যানেজার লিটন চাকমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রাহকরা। এ বিষয়ে সংস্থার গ্রাহক মোঃ মাইনুদ্দিন বাদী হয়ে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করলে কোট তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু আটকের এক সপ্তাহের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যান কাউখালী ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার লিটন চাকমা।
একইভাবে এ সংস্থার বিরুদ্ধে রাঙামাটি ছাড়াও বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি থেকেও কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা হয় অনেক উপজেলায়, গ্রেপ্তার করা হয় বিভিন্ন ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজারকে। এ নিয়ে গ্রাহকরা দিন পনের আন্দোলন করে মাঠ গরম রাখলেও কোন ফল না আসায় এবং কথিত এনজিও ও প্রভাবশালীদের সাথে পেরে না উঠায় একপর্যায়ে খেটে খাওয়া মানুষগুলো রাস্তা ছাড়তে বাধ্য হয়। বর্তমানে সংস্থার বেশীরভাগ কর্মকর্তা আত্মগোপনে থাকায় এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।