জিয়াউল জিয়া
নানাভাবে চেষ্টা করেও আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে ব্যর্থ ঝুঁকিতে বসবাসকারিদের সড়িয়ে নিতে অবশেষে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিতে হলো রাঙামাটির প্রশাসনকে।
পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে কয়েকদফায় করা হয়েছে মাইকিং। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চালানো হয় নানা প্রচেষ্টা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করে নি বসবাসকারীরা।
প্রশাসনের শত চেষ্টার পরও অধিকাংশ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্র নিতে ব্যর্থ হয়ে শেষপর্যন্ত নেয়া হয় সেনাবাহিনীর সহায়তা। শনিবার রাত ৯টার পরে জেলা প্রশাসনের সাথে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে নিয়ে আসা হয় আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে। তাতেও নানা অজুহাত এসব মানুষের। রাঙামাটিতে ২০১৭ সালে ১২০ এবং ২০১৮ সালে ১১ জনের মৃত্যু হয় পাহাড়ধসে।
শিমুলতলী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, বাড়ির সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছে। বাসায় আমি একা। আমি যাব না। ঘরে অনেক দামি জিনিসপত্র আছে।
আরেক বাসিন্দা মোশারফ মিয়া বলেন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের লোকজন বলেছে তাই আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাচ্ছি। ওনারা তো আমাদের ভালো চায়।
রাঙামাটি বেতার কার্যালয়, লোকনাথ মন্দির সহ বেশ কিছু অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে রাতে অনেকে আশ্রয় নিয়েছে।
রাঙামাটি বেতার কার্যালয়ে আশ্রয় নেয়া জোৎস্না আক্তার বলেন, আমাদের বাসার পাশে মাটি ভেঙ্গে গেছে। তাই শনিবার বিকেলে আশ্রয় কেন্দ্রে আসছি।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারাফ হোসেন খান বলেন, কোন মানুষ যাতে ঝুঁকির মধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে না থাকে তাই ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের শতভাত আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করছে। শহরে ১৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সবার জন্য খাবার, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রাখে হয়েছে।