জিয়াউল জিয়া ॥
নির্বাচন দিয়ে আমরা নিজেরা স্বাভাবিক এক্সিট চাচ্ছি, সেফ এক্সিট চাচ্ছি না। দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে আমি আমার ঘরে থাকবো। দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে আমি বিদেশে পালিয়ে যাবো না, একটা নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাচ্ছি বলে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শনিবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যিনি বলেছেন তিন এক সময় আমাদের সহকর্মী ছিলেন, তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটা স্পষ্ট না। সেটা যদি ওনি পরিস্কার করেন কাকে উদ্দেশ্য করেছেন তিনি সেটা ব্যাখ্যা দিলে ভালো হয়। দেশে থাকার আমার কোনও ঘর নাই। আমি ভাড়া বাসায় থাকি।
তিনি আরও বলেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব বরাবরই তথ্য দিয়ে আসছেন। আর নির্বাচন নিয়ে যদি কোন শঙ্কা থাকে সেটি নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে মনিটর করে যা যা করার করবেন। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি শতভাগ।

সম্প্রীতি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব ছাদেক আহমদ, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাজী শরিয়ত উল্লাহ সহ বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
ধর্ম উপদেষ্টা সমাবেশে বক্তব্যে বলেন, কাউকে ধর্মীয়, সামাজিক বা অন্য কোনোভাবে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। আমাদের সকলের মাঝে সম্প্রীতি থাকা দরকার, কারণ এটিই আসল। দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। আমি সকল সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা। আমাদের দেশের সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকল ধর্মের জন্য বরাদ্দ আছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কোনও ইসলামিক রাষ্ট্র নয়, এটি সেক্যুলার রাষ্ট্র এবং আমার সংবিধানও সেক্যুলার। তাই আমাকে সব ধর্মীয় স্থানে যেতে হবে, এটা আমার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। আমি একক কোন ধর্মের উপদেষ্টা নই। আমি মসজিদে যেমন যাই, তেমনি দায়িত্ব পালনের জন্য মন্দিরে-চার্চে-বিহারেও যাই। যেতে হবে, এটা আমার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। সবাইকে নিয়ে রাষ্ট্র চালাতে হবে। কোন ভেদাভেদ করা যাবে না। এসব অপপ্রচারে অপনারা কান দিবেন না।
পৃথিবীর যখন কোন দেশে জাতিগোষ্ঠিত মধ্যে সংঘাত হলে সে রাষ্ট্র কোন দিন উন্নতি করতে পারে না। জাপান সরকার সুদে টাকা দেয়। আমাদের সরকার সেই সুদের টাকা দিয়ে উন্নয়ন করে। সুদের টাকায় বানানো রাস্তা, মোট্রো রেল ও ওভার ব্রিজে চলাচল করছি সকলে। বাংলাদেশ কোন ইসলামী রাষ্ট্র নয়। আপনি অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে যাবেন কিনা সেটা আপনার দায়িত্ব। তবে আমার দায়িত্ব কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। সেটা দেখার জন্য আমাকে যেতে হয়।

