পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সাথে মত বিনিময় সভা রাঙামাটিতে
শুভ্র মিশু
পার্বত্য এলাকায় পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মতাবিনিময় সভা করেছে রাঙামাটি জেলা পুলিশ। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। অতিথি ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা, মো: মুসলিম, ট্যুরিস্ট পুলিশ এর পুলিশ সুপার সরদার নুরুল আমিন, রাঙামাটির পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাত সমূহের প্রতিনিধিরা রাঙামাটিতে পর্যটন বিকাশে প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে ধরেন।
বার্গী রির্সোট এর পরিচালক বাপ্পি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আসামবস্তী সড়কে সড়ক বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর পর্যটকরা সেখানে যেতে চায় না। এমনও হয়েছে আসামবস্তী ব্রিজের পর এক কিলোমিটার গিয়ে পর্যটক আবার ফেরত এসেছে। এই সড়কটায় সন্ধ্যার পর আলোর ব্যবস্থা করা গেলে অত্র এলাকায় গড়ে উঠা রির্সোট সমূহে পর্যটক যাতায়াতে সুবিধা হবে।
রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল বলেন, রাঙামাটিতে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা স্থানীয় কারো সাথে কোন ঘটনা ঘটলেই সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়। যার মাধ্যমে রাঙামাটির সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পর্যটকদেরও দূর্ভোগে পড়তে হয়। সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা তাদের সমস্যা সমাধানে যখন তখন সিএনজি অটোরিক্সা বন্ধ না করে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের সাথে কথা বলার আহবান জানান তিনি। এছাড়াও তিনি রাঙামাটি শহরের যানযট নিরসনে গাড়ি পাকিং লট এর দাবি জানান।
রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, কাপ্তাই হ্রদের নীল জলরাশি দেখতে রাঙামাটিতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ভীর করে। কিন্তু পলি জমে দিন দিন কাপ্তাই হ্রদের নাব্যতা কমছে, এতে ডুব চরে আটকা পরে যায় নৌযান, ফলে বিপাকে পড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। কাপ্তাই হ্রদে সৌন্দয্য ধরে রাখতে হ্রদ খনন জরুরী।
অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান বলেন, রাঙামাটি হচ্ছে পর্যটন সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল। রাঙামাটিতে ধীরে ধীরে পর্যটন বিকশিত হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এখানে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সেবার মনভাব নিয়ে কাজ করার ও পর্যটকদের সাথে সৌহাদ্যপূর্ণ আচরণ করার আহবান জানান তিনি।