কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥
চলতি বোরো মৌসুমে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৫টি ব্লকের ৫শত ৮১ হেক্টর কৃষি জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়। কাপ্তাই কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এইবছর বোরোধানের আশানুরূপ ফলন হয়েছে। বোরো ধানের ভালো ফলন হওয়াতে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। বর্তমানে ধান কেটে ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মধুসূদন দে জানান, চলতি বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৫৮১ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক ধান উৎপাদন হওয়ার আশা দেখছি আমরা।
তিনি আরোও জানান, উফশী জাতের মধ্যে ব্রি-ধান ২৮, ২৯, ৮৮, ৮৯ এবং ১০০ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ব্রি-ধান ১০০ যেটি বঙ্গবন্ধু ধান নামে পরিচিত। যাতে ব্যাপক ফলন দেখা গেছে। পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতের ধান চাষ হয়। ধারণা করা হচ্ছে ফলনে অন্য জাতের ধানকে হার মানাবে এটি। যা কৃষি বিভাগের একটি সাফল্য। মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে বোরো মৌসুমে আমরা আমাদের উৎপাদনের টার্গেট পূর্ণ করতে পারবো।
গত বুধবার উপজেলার চন্দ্রঘোনার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রেশম বাগান তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঐ এলাকার কৃষক মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যা ও জগৎ তঞ্চঙ্গ্যা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এসময় উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাপ্পা মল্লিক ও ইকবাল হোসেন উপস্থিত থেকে তাদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
কৃষক মৃনাল ও জগৎ জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমরা চলতি বোরো মৌসুমে ১ হেকর কৃষি জমিতে ব্রি-ধান ১০০( বঙ্গবন্ধু ধান), ব্রি-ধান ৮৮( জিং সমৃদ্ধ) ধান চাষ করি। হেক্টর প্রতি ৫ মেট্রিক টন ফলন হয়েছে আমাদের।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাপ্পা মল্লিক জানান, বিশেষ করে এই মৌসুমে ব্রি-ধান -১০০ যা বঙ্গবন্ধু ধান নামে পরিচিত, এই জাতের ধানের আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
রাইখালী ইউনিয়ন এর বড়খোলাপাড়ার কৃষক থুইচিং মারমা ও অংচাথোয়াই মারমা জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমরা ২ একর কৃষি জমিতে ব্রি-ধান- ২৮, ৮৮ জাতের ধানের চাষাবাদ করেছি। এ বছর হেক্টর প্রতি ৫ মেট্রিকটন ধানের ফলন হয়েছে।