মিন্টু মারমা, মানিকছড়ি
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই স্লোগানে দেশজুড়ে বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ঘর-বাড়ি, সরকারি অফিস, রাস্তা-ঘাটে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নিরাপত্তা স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সৌর বিদ্যুতের বদৌলতে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে তৃণমূলে। দেশকে ডিজিটালের আওতায় আনতে বিদ্যুৎবিহীন জনপদে চলছে সৌর বিদ্যুতে জনপদ আলোকিত করার কাজ। ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদে স্কুল-মাদরাসা, মসজিদ-মন্দির, ক্যায়ং, দরিদ্র পরিবার, জনসমাগমস্থল (অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাট) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হোম সিস্টেম ও স্ট্রিট লাইট স্থাপনের পাশাপাশি তৃণমূলের কৃষক সমাজে পরিবর্তন আনতে এবং অনাবাদী কৃষি জমিতে অনায়াসে ফসল উৎপাদনে ডিজিটালের হাওয়া ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার একাধিক স্পটে বিশাল বিলে স্থাপন করা হয়েছে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) উপজেলার বড়বিলস্থ পৃথক দুটি বিলের (৫০ একর) একপাশে স্থাপন করেছে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। এতে ওই বিলের সিংহভাগ কৃষক মোটর দ্বারা গভীর নলকূপ ও ছড়া বা খাল থেকে প্রতিনিয়ত পানি উত্তোলন করে অনায়াসে চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মনে এখন রঙিন স্বপ্ন।
সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯-২০ এই অর্থবছরে উপজেলা অনগ্রসর জনপদ তিনটহারী ও বড়বিল এলাকার বিশাল বিলের (প্রায় ৫০ একর ধান্য জমি) একাংশে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) স্থাপন করেছে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। এতে করে ওই জমির কৃষকরা সৌর বিদ্যুতে অনায়াসে খাল থেকে পানি তুলছে এবং বছরব্যাপী ধান, ভুট্টা, মরিচ, টমেটোসহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করছে। পানি নিয়ে এখন আর তাদের চিন্তা করতে হয় না। এছাড়া উপজেলা প্রত্যন্ত জনপদে কৃষকরা সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষকরা নিজ উদ্যোগে সেচ ব্যবস্থা করে কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন সময়োপযোগী একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা উপকারভোগী হতে পারবে। কৃষকরা এ প্রকল্পের সুযোগ গ্রহন করে কৃষিক্ষেত্রে নিজেদেরকে পরিবর্তনের সুযোগ নিতে উৎসাহ দিচ্ছি। তাছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযু্িক্ত ব্যবহারে কৃষি বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় পরার্মশ প্রদান করা হচ্ছে।