‘পার্বত্য এলাকার অনগ্রসর শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্গম এলাকার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষিত করতে সরকারি ও দাতা সংস্থার পাশাপাশি বিত্তবান, অভিভাবক ও সমাজের শিক্ষিত ব্যক্তিরাও অবদান রাখতে হবে।’
মঙ্গলবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিশু বান্ধব স্কুল প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শাটল বোট পরিচালনা প্রশিক্ষণ এবং বোট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
রাঙামাটি ইউনিসেফের প্ল্যানিং অফিসার উম্মে হালিমার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউনিসেফের চীফ ফিল্ড অপারেশনস্ কাটসামাং রাজপাংথাং, চীফ সাপ্লাই প্রকিউরমেন্ট অকিজো সারিয়া, সিনিয়র প্রোগ্রাম এ্যাসিসটেন্ট মনোজ কুমার দেব, চট্টগ্রাম হেড অব জোন মাধুরী ব্যানার্জি, এ্যাডুকেশন স্পেশালিষ্ট সিয়ারা রাভিরা, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম জোনের এ্যাডুকেশন অফিসার লায়লা বেগম বক্তব্য রাখেন।
কাপ্তাই লেক সংলগ্ন দুর্গম এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাক্ষেত্রে আরো অংশগ্রহণ ও শিখনের সুযোগ বাড়ানোর জন্য দাতা সংস্থার পাশাপাশি স্কুল ম্যানিজিং কমিটিকে জোরালো রাখার অনুরোধ জানিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদানকৃত বোট শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে হবে, অন্য কোন কাজে নয়। ’
রাঙামাটি সদর উপজেলা, বিলাইছড়ি উপজেলা এবং বরকল উপজেলার মোট ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শাটল বোট পরিচালনা প্রশিক্ষণ, বোট, লাইফ জ্যাকেট ও টায়ার বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে ইউনিসেফ কর্তৃক রাঙামাটি সদর উপজেলার হেমন্ত, গোলাছড়ি, কালী পাহাড়, জগনাছড়ি, বরকল উপজেলার ধামাইছড়া এবং বিলাইছড়ি উপজেলার কেরণছড়ি বিদ্যালয়ে ৬টি বোট প্রদান করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত সংস্থাটির পক্ষ থেকে মোট ১৬টি বোট প্রদান করা হলো।