বিশেষ প্রতিবেদক, বান্দরবান ॥
বান্দরবানে সদর উপজেলার গোয়ালিয়াখোলা-ভাগ্যকূল এলাকায় স্কেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে খাল থেকে বালি ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। সপ্তাহ দুয়েক ধরে প্রকাশ্যে পরিবেশ ধ্বংস করে গোয়ালিয়াখোলা ও ভাগ্যকূল খাল থেকে বালি ও মাটি উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বান্দরবান সদর উপজেলার রেইছা সদর ইউনিয়নের গোয়ালিয়াখোলা এবং সূয়ালক ইউনিয়নের ভাগ্যকূল এলাকায় পাহাড়ি ছড়াখাল থেকে স্কেভেটর দিয়ে বালি ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরোয়ার আজমের নেতৃত্বে পরিবেশ ধংসকারীরা। খাল থেকে উত্তোলন করা বালি ও মাটি ১২টি ডাম্পার ট্রাকে করে নিচু জমি-জলাশয় ভরাটের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতি ডাম্পার ট্রাকের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ৮শ থেকে ১২শ টাকায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গোয়ালিয়াখোলা সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পাহাড়ের প্রাকৃতিক ছড়াখাল থেকে স্কেভেটর দিয়ে বালি মাটি উত্তোলন করে ডাম্পার ট্রাকে ভর্তি করা হচ্ছে। ডাম্পার ট্রাকগুলো মাটিগুলো রেইছা, মেঘলা এলাকায় নিচু জমি ভরাটের কাজে নেয়া হচ্ছে। পরিবেশ বিরোধী কর্মযজ্ঞে দিনেরাতে সমানতালে ১২/১৫টি ট্রাক চলাচলের কারণে ধূলো বালিতে আশপাশের এলাকাবাসীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। অপরদিকে ভাগ্যকূল খালের কয়েকটি পয়েন্ট থেকে মেশিনের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্কেভেটরের ড্রাইভার মো. রাসেল বলেন, সপ্তাহ দুয়েক ধরে স্কেভেটর দিয়ে খালের মাটি কাটা হচ্ছে। বিএনপি নেতা সরোয়ার আজমের নির্দেশেই মাটি উত্তোলনের কাজ করা হচ্ছে। মাটিগুলো ডাম্পার ট্রাকে করে জায়গা ভরাটের কাজে নেয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরোয়ার আজম বলেন, সুইচ গেইট তৈরির জন্য খালের মাটিগুলো কাটা লাগত। তাই স্কেভেটর দিয়ে খালের মাটি কেটে ডাম্পার ট্রাকে করে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। তবে ভাগ্যকূল খাল থেকে মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের সঙ্গে আমি জড়িত নয়।
এ প্রসঙ্গে বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সদরে কোথাও বালু মহল নেই। খাল থেকে বালি-মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করাটা অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।