নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই
কাপ্তাই উপজেলাধীন কাপ্তাই ইউনিয়নে পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত ৬শ’ পরিবার আর আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চায় না। তারা স্থায়ী ঠিকানা চায়। কাপ্তাই ঢাকাইয়া কলোনী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসরত বাসিন্দারা ক্ষোভের সাথে এসব কথা জানায়।
তারা জানায়, নির্বাচন আসলে এমপি প্রার্থী, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ কাপ্তাইকে মৌজা ঘোষণাসহ আমাদের স্থায়ী ঠিকানা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আসলেও নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের প্রতিশ্রæতি ভুলে যায়।
দীর্ঘ বছর যাবৎ ঝড়, তুফানে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে পাহাড়ের ঢালুতে আমরা বসবাস করে আসছি। প্রতিবছর বর্ষা এলেই আমাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হয়। স্থায়ী একটি বসবাসের ঠিকানা চাই। কাপ্তাই নতুন বাজার, ঢাকাইয়া কলোনী, লগগেইট, কবরস্থান ও কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী স্থানে পাহাড়ের ঢালুতে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ছয় শতাধিক ভূমিহীন আশ্রয়হীন পরিবার যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলে প্রশাসনের পক্ষ হতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের ঢালু থেকে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার আহবান জানানো হয়। এসময় অনেকে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে, আবার অনেকে কাপ্তাই নতুন বাজার সংলগ্ন ঢাকাইয়া কলোনীসহ পাহাড়ের ঢালুতে তাদের স্থাপনা রক্ষার্থে ত্রিপল (ভাঙ্গণ প্রতিরোধে) ব্যবহার করে বসবাস অব্যাহত রাখতে দেখা যায়। তবুও তারা আশ্রয়কেন্দ্র যেতে চায় না।
গত বৃহস্পতিবার কাপ্তাই লগগেইট এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরত হাজেরা, আমেনা, জাকির ও হোসেন আলী জানায়, আমাদের ভোটে এমপি, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। কিন্ত আমাদের স্থায়ী বসবাসের জন্য মৌজা ও প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন করে না। আমরা আর আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাই না, মরলে এই পাহাড়ের ঢালুতেই মরবো। না হয় আমাদের স্থায়ী ঠিকানা করে দেওয়া হউক বলে তারা ক্ষোভের সাথে জানায়।
কাপ্তাই ৪নং ইউপি পরিষদের ইউপি সদস্য ইমান আলী জানান, কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ৬ শতাধিক পরিবার মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাস করছে। তবে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়। কেউ যায় আবার কেউ যেতে চায় না। ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য স্থায়ীভাবে থাকার ঠিকানা করে দিতে কাপ্তাইকে মৌজার আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাই।