স্বাস্থ্য খাতে এবারের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। যা মোট বাজেটের ১২ শতাংশ। গত বছর এই খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো ২ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা। তবে বছর শেষে এই খাতে খরচ হয়েছিলো ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় এবার সবচে বেশি আলোচিত বিষয় ছিলো স্বাস্থ্য খাত। এই খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ না রাখাসহ যে বরাদ্দ রাখা হয় তাও পুরোপুরি খরচ না করায় সাংবাদিক এর সমালোচনা করেন। এ সময় সাংবাদিকরা পরিষদবর্গকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। এসময় তারা বলেন, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত কেবিন ব্যবস্থা নেই। অ্যাম্বুলেন্স সঙ্কট, এক্সরে মেশিনসহ হাসপাতালের উন্নয়নে যে বরাদ্দ রাখা হয় অন্তত তা যেনো পুরোপুরি খরচ করা হয় সেবিষয়ে তাগিদ দেন।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগ হওয়া সত্ত্বেও পরিষদের বাজেটে এই খাতটি সবসময় অবহেলিত থাকে। দীর্ঘদিন ধরে একটি অ্যাম্বুলেন্স ক্রয়ের কথা থাকলেও আজো তা ক্রয় করা হয়নি।
বাজেট উত্থাপনকালে চেয়ারম্যান বলেন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে রিং ওয়েল/ডিপ ওয়েল স্থাপন, পাইপ লাইন স্থাপন, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন নির্মাণ, স্বাস্থ্য কেন্দ্র মেরামত/রক্ষণাবেক্ষণ, চিকিৎসা শিবির পরিচালনা, হাসপাতাল প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, হাসপাতালে জেনারেটর/আইপিএস সরবরাহসহ আরো বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জেলার স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য প্রয়োজন সরঞ্জাম কিনে দেওয়া হচ্ছে বলে চেয়ারম্যান জানান।