শুভ্র মিশু ॥
রাঙামাটিতে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে পরিচালিত হচ্ছে অভিযান। অভিযানের ৫০ শতাংশ জায়গায় মিলছে এডিস মশার লার্ভা। ফলে সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিভাগ।
চলতি সপ্তাহে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ জন। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১১ জন। সাধারণ রোগীদের সঙ্গেই দেয়া হচ্ছে তাদের চিকিৎসা। তবে রোগীদের রাখা হয়েছে মশারির ভেতর।
জানা গেছে, আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশই বিভিন্ন কাজে তারা গিয়েছিলেন রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে। তাদের ধারণা, ওই সব জায়গায় অবস্থানকালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তারা। আবার কেউ কেউ বাড়িতে থেকেও আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ হতে এলাকায় এলাকায় ঘুরে খোঁজা হচ্ছে এডিস মশার লার্ভার স্থান। অধিকাংশ বাড়ির টব, টায়ার ও ড্রামে জমে থাকা পানিতেই পাওয়া যাচ্ছে এসব এডিস লার্ভা। অভিযানের ৫০ শতাংশ বাড়িতেই মিলেছে লার্ভা। যা পৌরসভাকে অবহিত করার পরে সেখানে স্প্রে করা হচ্ছে কীটনাশক।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর জানিয়েছেন, বর্তমানে হাসপাতালে ১১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে রোগীর চাপ থাকায় এখনো তাদের আলাদা করা যায়নি। রোগী আরো বাড়তে পারে এই শঙ্কায় আলাদা ওয়ার্ডের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমরা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানতে পেরেছি, শহরের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশার লার্ভা পরীক্ষার ৫০ শতাংশ বাড়িতেই ডেঙ্গুর লার্ভা মিলছে। সকলকে নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখতে একসাথে কাজ করতে হবে।