২০ বছর পূর্তি উৎসব পালন করেছে পাহাড়ের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাবারাং কল্যাণ সমিতি। ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ জাবারাং-এর ২০ বর্ষপূর্তি, বার্ষিক সাধারণ সভা ও কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে সংস্থার রিসোর্স এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে বর্ণাঢ্য উৎসব ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারপার্সন চন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা অধিদফতর- খাগড়াছড়ির উপ-পরিচালক অমল বিকাশ চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহর সমাজ সেবা কর্মকর্তা রোকেয়া বেগম, সংস্থার উপদেষ্টা প্রফেসর (অব) মধু মঙ্গল চাকমা, ইউএনডিপি প্রতিনিধি মো. তারিক আকবর ও শেফালিকা ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার সহ-সাধারণ সম্পাদক সুইচিং অং মারমা। সংস্থার পক্ষ থেকে বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহি পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।
আলোচনায় বক্তাগণ জাবারাং কর্তৃক বিগত বছরে শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেন।
দক্ষিণ ভুয়াছড়ি এবতেদায়ি মাদ্রাসা ও দক্ষিণ ভুয়াছড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস এম হায়দার আলী বলেন, খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে অবদানের জন্য জাবারাং একটি অনুসরনযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বি আর খান জাবারাং-এর জনকল্যাণমুখি কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, মাত্র ২০ বছর বয়সে জাবারাং প্রমাণ করতে পেরেছে, কল্যাণ কাকে বলে। শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে যেমন পাইওনিয়ার, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে জাবারাং অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মধুমঙ্গল চাকমা বলেন, জাবারাং তার কার্যক্রম সর্বোচ্চ সততা নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সততা ও জবাবদিহিতা আছে বলেই আজ মাত্র ২০ বছর সময়ে জাবারাং সকলের মাঝে পরিচিত একটি সংস্থা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।
বিশেষ অতিথি মো: তারিক আকবর বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাবারাং ইতোমধ্যে একটি আদর্শের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তিনি জাবারাং-এর ভবিষ্যত কার্যক্রমগুলোতে বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে জনগণের মাঝে জাবারাং-এর সম্পৃক্ততা আরো সুদৃঢ় করার জন্য আহবান জানান।
নারী নেত্রী শেফালীকা ত্রিপুরা জাবারাং-এর কার্যক্রমকে পার্বত্য অঞ্চলের অন্যান্য এনজিওর জন্যও অনুকরনীয় হিসেবে উল্লেখ করেন।
শহর সমাজ সেবা কর্মকর্তা রোকেয়া বেগম বলেন, স্থানীয় এনজিওগুলোর মধ্যে একমাত্র জাবারাং তার অঙ্গীকার রক্ষা করেছে।
প্রধান অতিথি অমল বিকাশ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে জাবারাং শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। আজ এ সংস্থার ২০ বছর পূর্ণ হল। কাজেই এ প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ্যযোগ্য অর্জন রয়েছে।
দয়ানন্দ ত্রিপুরার উপস্থাপনায় আয়োজিত এই সভা শুরু হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও সংস্থার জন্মদিনের কেক কাটার মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানে আসা স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে থেকে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন দীঘিনালা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধন কুমার চাকমা, গাছবান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভূপতি দেওয়ান, কোস্টাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা ও বীর মুক্তি যোদ্ধা বি.আর. খান প্রমুখ।