নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
নবগঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে কাউখালী,বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোনও প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা করেছেন চার উপজেলার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে এই অঞ্চলের মিনি পার্লামেন্ট হিসেবে অভিহিত করা হয়। পার্বত্য চুক্তির কারণে সমতলের ৬১টি জেলা পরিষদের চাইতে পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ অধিক কার্যকর। কিন্তু কিছুদিন আগে রাঙামাটির ১০টি উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র ৬টি উপজেলার ১৫ সদস্য নিয়োগ দিয়ে কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোনও প্রতিনিধি না রেখে এলাকাবাসীর সাথে চরম বৈষম্যমুলক আচরণ করা হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটি সদর উপজেলা হতে ৯ জন সদসকে রেওয়াজ বহির্ভূতভাবে নিয়োগ প্রদান করে স্বজনপ্রীতি ও ফ্যাসিস্ট মানসিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, পুনর্গঠিত পরিষদে অধিকাংশ সদস্যই বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের স্বজন। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এবং হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামিও পরিষদে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
পুনর্গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মনোনীত সদস্যদের নিয়োগ বাতিলপূর্বক কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার প্রতিনিধিত্বমুলক সদস্য নিয়োগ দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করে নতুনভাবে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জুরাছড়ি উপজেলাবাসীর প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি(দুপ্রক)এর সাধারণ সম্পাদক ললিত সি. চাকমা, সত্য বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, উথান মারমা, মো. জসিম উদ্দিন, মো. তারা মিয়া, এমদাদ হোসেন, পুলিন বিহারী চাকমা ও রনজিত তঞ্চঙ্গ্যা।