মিশু মল্লিক ॥
৫ আগস্টে যে পরিবর্তনটি এসেছে এই পরিবর্তনটি সকলের জন্য এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেছেন, অধিকার সকলের জন্য। এই অধিকারটি প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এই পরিবর্তন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা শুধু লোক দেখানো পরিবর্তন চান না। উনি এমন একটি পরিবর্তন চান যেই পরিবর্তন আমরা সকলে নির্ভয়ে চর্চা করতে পারবো।
শনিবার বিকেলে পাহাড়ের শান্তি নিকেতন হিসেবে পরিচিত ও ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখা রাঙামাটির ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মোনঘর’র সুর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমরা যেন এই দেশ, রাষ্ট্র ও সংবিধানের মানুষ হিসেবে বলতে পারি আমাদের অধিকারের পাশাপাশি দায়িত্বও রয়েছে। আপনারা সকলে নিজেদের দায়িত্বটুকুও দেখাবেন।
মোনঘর এর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সমাপনী অধিবেশনের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, সিএসপি, পিএইচডি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড.এস এম ফরহাদ হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মোনঘর কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি নিরুপা দেওয়ান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোনঘর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন কমিটির আহবায়ক কীর্তি নিশান চাকমা।
বক্তারা বলেন, মোনঘর পাহাড়ে শিক্ষার প্রসারে একটি বাতিঘরের মত কাজ করে গেছে গত ৫০ বছর। ৫০ বছরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ালেখা করে অনেক শিক্ষার্থী আজ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত আছেন। পাহাড়ের যেসকল দুর্গম অঞ্চলে এখনো শিক্ষার আলো পৌঁছায় নি, সেখানখান দরিদ্র মেধাবী শিশুরা মোনঘরে অবস্থান করে নিজেদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে নিতে পারছে। এটি মোনঘর তথা রাঙামাটির জন্য অত্যন্ত গৌরবের। বক্তারা মোনঘরের সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং ভবিষ্যতে মোনঘরের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ^াস দেন।
আলোচনা সভা শেষে মোনঘরের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।