রাঙামাটিতে গতকাল (১৯ জুলাই ২০২৫) অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির সভাকে লোকদেখানো, ভাওতাবাজি ও জনগণকে চুক্তি বাস্তবায়নের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ভুলিয়ে রাখার শাসকগোষ্ঠীর পুরোনো কৌশল বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
আজ ২০ জুলাই ২০২৫, রবিবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের সহসভাপতি নূতন কুমার চাকমা এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আশঙ্কাজনক হারে পাহাড়ি নারী ধর্ষণ, বিনা বিচারে কারাগারে আটকাবস্থায় পর পর তিন জন বম জাতিসত্তার লোকের রহস্যজনক হেফাজতী মৃত্যু, সাজেকে কলেজ নির্মাণে বাধাদান, পাহাড়িদের ব্যবসা-বাণিজ্যে অবর্ণনীয় হয়রানি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন সমস্যা জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উক্ত সভার আয়োজন করা হয়েছে।’
তিনি জনগণের সাথে প্রতারণা, চালাকি ও ভণ্ডামি পরিহার করে জনগণের ন্যায্য দাবি পূরণের জন্য ডক্টর ইউনূস সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গত ২৭ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতির অনেক বড় পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, ‘১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তি একটি অসম্পূর্ণ চুক্তি, যেখানে জনগণের মৌলিক দাবি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকতর পশ্চাদপদ জাতিগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি; কাজেই এই অসম্পূর্ণ চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।’
নূতন কুমার চাকমা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মিথ্যা আশ্বাসে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত অধিকার ও ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে অবিচল থাকার আহ্বান জানান।(বিজ্ঞপ্তি)