মমতাময়ী’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে রাঙামাটির পৌর মেয়র আকবর
নিজস্ব প্রতিবেদক
তেইশ বছরের ধারাবাহিকতায়,আবারও পার্বত্য শহর রাঙামাটিতে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘মমতাময়ী’র মোড়ক উন্মোচন,চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা,বস্ত্রবিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকালে শহরের শ্রী শ্রী রক্ষা কালিবাড়িতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র কালায়ন চাকমা,পৌর কাউন্সিলর পুলক কান্তি দে, শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দিরের সার্ধশত উদযাপন কমিটির সভাপতি সঞ্জীব চৌধুরী,মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশীষ কুমার দে,পুরোহিত কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক পুলক চক্রবর্তী।
মমতাময়ী প্রকাশনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক পিল্টন দে’র সভাপতিত্বে ও দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পাদক ফজলে এলাহীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মমতাময়ীর অন্যতম সম্পাদক শংকর হোড়। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী রেজাউল করিম ও সনাতন যুব পরিষদের সভাপতি অজিত শীল। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাচিকশিল্পী তুষার ধর ও চৈতী ঘোষ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা লালন করি,সেইটির পরিচর্যার জন্য এই ধরণের বহুমাত্রিক,বহুজাতিক,বহুধার্মিক আয়োজন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।’
তারা বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এমন একটি কাজ করে যাওয়া এত সহজ কথা নয়। উদ্যোক্তাদের আন্তরিকতা,সাহসিকতা ও সততা না থাকলে এটি অসম্ভব। এইসব কমিটমেন্টই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন,‘আমি বিস্মিত হয়েছি,এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। এটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। রাঙামাটি শহরের যে অসাম্প্রদায়িক ইমেজ সেটিকে বজায় রাখতে এমন আয়োজন প্রশংসনীয় এবং এর বিকল্পও নেই। এইসব আয়োজনই সবচে বেশী প্রয়োজন।’
পৌরবাসিকে শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে,আসন্ন দুর্গাপূজো উৎসবে আনন্দে নিরাপদে পালনের আহ্বান জানান মেয়র।
মমতাময়ীর উদ্যোক্তা পিল্টন দে বলেন,‘আমি যতদিন বেঁচে আছি,ততদিন এই আয়োজনটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব,আমি যদি পৃথিবীতে নাও থাকি,তখনো কেউ না কেউ যেনো এই কাজটি এগিয়ে নিয়ে যায়,সেই কাজটিও করে যাব আমি।’
আলোচনা সভা শেষে রাঙামাটি পুরোহিত কল্যাণ সমিতিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এরপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৬০ শিশু চিত্রশিল্পীকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র এবং ১২০ দরিদ্র নারী ও পুরুষকে শাড়ী এবং লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।