নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই ॥
পাইলিং জটিলতায় থমকে আছে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের কাপ্তাই উপজেলাধীন ব্যাঙছড়ি ব্রিজের নির্মাণ কাজ। ফলে মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ দিয়ে দৈনন্দিন শতশত যানবাহন চলাচল করছে। সহসাই পাইলিং জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত সড়কের পাকা ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যাঙছড়ি কালভার্ট ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় দু’বছর পূর্বে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এসময় যান চলাচলের জন্য বিকল্পভাবে অস্থায়ী একটি বেইলি ব্রিজ নির্মিত হয়। কাপ্তাই একটি পর্যটন এলাকা হওয়ায় অসংখ্য পর্যটক এখানে প্রতিদিন ঘুরতে আসে। ফলে সেতুটি দিয়ে দৈনন্দিন শত শত ছোট বড় যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করছে।

এদিকে, পাকা সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর প্রায় দু’বছর অতিবাহিত হলেও নির্মাণ কাজের তেমন অগ্রগতি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে কাজটি সম্পূর্ণ বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সড়কে পাকা ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ঝুঁকি রয়েই গেছে। বর্তমানে অস্থায়ী ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজটি দিয়েই যান চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে চালকরা।
সড়কটিতে চলাচলকারী বাস চালক আমির হোসেন, মাইক্রো চালক মো. ইয়াছিন, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক মামুন মিয়া জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের এই স্থানে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় আমরা কিছুটা স্বস্তিতে ছিলাম। অন্তত এবার ঝুঁকিমুক্তভাবে যান চলাচল করা যাবে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও পাকা ব্রিজটি নির্মিত না হওয়ায় আমরা সেই ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চলাচল করছি। ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ হলে ঝুঁকি কমবে বলে তারা জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নিজামুদ্দিন জানান, আমরা পাকা ব্রিজের নকশা অনুমোদন সাপেক্ষে যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলাম। এতে কাজের কিছুটা অগ্রগতিও হয়েছিলো। কিন্তু পাইলিং করার সময় একপাশের মাটির নিচে অসংখ্য পাথর পাওয়ায় পাইলিং করতে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এতে কাজটি থমকে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে পুনরায় মাটির স্তর পরীক্ষা করে ব্রিজের নকশা অনুমোদনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত পাকা ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

