ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শিল্প এলাকার বাসিন্দা মো. ইউসুফ। তিনি কাপ্তাই লাম্বার প্রসেসিং কেন্দ্রের (এলপিসি) একজন কর্মচারী। আজ থেকে ৪ বছর আগে মাত্র দুইটি রামছাগল কিনে বাসার সামনে খামার করে পালন করা শুরু করেন তিনি। যেদিন প্রথম যে ছাগলটা কিনেন, সেইদিন ছাগলটার নাম রাখেন বুড়ি। এখন তাঁর খামারে মোট ৬২ টি বিভিন্ন জাতের ছাগল আছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকার মতো। এমনকি গত চার বছরে প্রায় ৩ লাখ টাকার উপর ছাগল বিক্রিও করেছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার মো. ইউসুফ এর সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে অনেকটা শখের বসে দুইটি দেশি রাম ছাগল কিনে বাসায় পালন শুরু করি৷ এই দুইটি ছাগল হতে বংশবৃদ্ধি হতে হতে বর্তমানে ছোট বড় মিলে আমার খামারে ৬২টি ছাগল হয়েছে। তৎমধ্যে রাম ছাগল, দেশি ছাগল ও পাঁঠা ছাগল বেশি। প্রতি কোরবানি ঈদে দেশি ছাগল এবং হিন্দুদের মনসা পূজায় পাঁঠা ছাগল বিক্রি করে আমি বছরের লাখ টাকার কাছাকাছি লাভ করে থাকি। আমার খামারের দেখা শুনার জন্য দুই জন লোক রেখেছি। তাদেরকে মাসে মাসে বেতন দিই না, তবে বছর শেষে লাভের টাকা সমান ভাগ করে নিই। তিনি আরোও বলেন, বর্তমানে ছাগলের খাবারের দাম বাড়াতে আর বেশি ছাগল পালন করতে পারছি না।
কাপ্তাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসাপাতালের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার তাঁর খামারের ছাগলগুলোকে বিনামূল্যে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করা হয় বলে তিনি জানান।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাপ্তাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক হাজারী বলেন, তিনি আমাদের প্রাণিসম্পদের সফল উদ্যোক্তা। আমরা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসাপাতালের পক্ষ থেকে সর্বদা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। আমরা চাই তাঁকে দেখে যেন তরুণরা ছাগল পালনে এগিয়ে আসে,স্বাবলম্বী হয়ে যেন বেকারত্ব থেকে মুক্তি পায়।